• দিঘার প্রসাদ নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর, ব্যাখ্যা রাজ্যের
    আনন্দবাজার | ০৭ জুন ২০২৫
  • মন্দিরের পরে প্রসাদ। জগন্নাথ মন্দির নিয়ে এ বার তরজায় নামল বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস।

    দিঘার জগন্নাথের প্রসাদ আদৌ প্রসাদ নয় বলে অভিযোগ করে এই নতুন তরজার সূচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসাদ হিসেবে রাজ্য সরকারের তরফে বাড়ি বাড়ি যা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা সাধারণ মিষ্টি বলে দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “জগন্নাথ ধামের প্রসাদ বলে উল্লেখ করে একটি গজা ও একটি পেঁড়া ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক, মহকুমাশাসককে বলা হয়েছে স্থানীয় কোনও মিষ্টির দোকান থেকে ওই মিষ্টি কিনতে হবে। মাপ ও কী দিয়ে তৈরি হবে, সে সব বলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ওই মিষ্টির সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ ধামের কোনও সম্পর্ক নেই।” বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, “হিন্দুদের আস্থায় এত বড় আঘাত দেওয়া যায়?”

    শুভেন্দু এই অভিযোগ তোলার কিছু ক্ষণ পরেই পাল্টা আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসক শিবির। এ কাজের ভারপ্রাপ্ত দফতরের (তথ্য- সংস্কৃতি) মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের মন্তব্য, “প্রসাদ নিয়ে কিছু মানুষের কুরুচিপূর্ণ কথা শুনে আমরা আহত। বলা হয়েছে হিন্দুদের আস্থায় আঘাত করা হয়েছে। আমি তীব্র ধিক্কার জানাই।” তাঁর সংযোজন, “পেঁড়া তৈরির উপকরণ খোয়াক্ষীর জগন্নাথ মন্দিরে মহাপ্রসাদ করার পরে যাবে মিষ্টির দোকানে। তা তা দিয়ে মিষ্টি তৈরি হবে।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষেরও কটাক্ষ “বাড়ির পাশে মন্দিরে এক বার আশীর্বাদ নিতে যাননি। হিন্দুদের আস্থা নিয়ে ওঁর এত চিন্তা করতে হবে না।”

    শুভেন্দুর মন্তব্য, “এটা তো জগন্নাথের পেঁড়া নয়, মমতার পেঁড়া।” বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, “যদি পচে না যায়, তা হলে মিষ্টি অবশ্য খান। কিন্তু প্রসাদ বলে গ্রহণ করবেন না।” শুভেন্দুর দাবি, “সরকারি নির্দেশিকায় হিন্দু ডিলারদের মাধ্যমে হিন্দুদের মধ্যে বিলি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, এটা তো প্রসাদ নয়, মিষ্টি। তাই যাঁদের মধুমেহ নেই, তাঁরা সকলেই খেতে পারেন। তা হলে মুসলিম, খৃস্টান, বৌদ্ধ, শিখ কেন বাদ যাবেন? করের টাকায় তো সবার হক আছে।” ইন্দ্রনীল বলেন, “শুধু হিন্দুদের বা হিন্দু ডিলারদের মাধ্যমে প্রসাদ বিতরণের কোনও নির্দেশিকা নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভেদাভেদ করেন না।”

    প্রশাসনের শীর্ষ মহলের দাবি, এত মানুষের জন্য প্রসাদ পাঠানো কঠিন কাজ। প্রস্তুতি বৈঠকের তথ্য নিয়ে রাজনীতি করা দুর্ভাগ্যজনক। কোনও ভেদাভেদ করা হচ্ছে না।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)