ডুবন্ত বহু মানুষকে বাঁচালেও নিজের বেলায় আর পারলেন না! চুঁচুড়ায় গঙ্গায় ডুবে মৃত্যু প্রৌঢ়ের ...
আজকাল | ০৭ জুন ২০২৫
মিল্টন সেন,হুগলি: গঙ্গার পারেই ছিল তাঁর আড্ডা। খুব সাহসী, সাঁতারে ছিলেন পারদর্শী। কখনও গঙ্গায় ডুবন্ত মানুষ নজরে পড়লেই নির্দ্বিধায় ঝাপিয়েছেন। বহু মানুষকে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে এনেছেন পারে। সেই হিসাব করলে, হয়তো গুণে শেষ করা যাবে না। অথচ অসুস্থতার কারণে সেই প্রৌঢ়-ই এদিন নিজেই গঙ্গায় স্নান করতে নেমে ডুবে গেলেন! বাঁচাতে পাড়লেন না নিজেকে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে চুঁচুড়া পুরোনো লঞ্চ ঘাটে। মৃত্যু হল চুঁচুড়া বড় বাজারের বাসিন্দা সুরেন্দর সাহানি-র(৫০)।
প্রতিদিন সকালে মাঠে দৌড়াতেন সুরেন্দর। তারপর পুরোনো লঞ্চঘাটে সাঁতার কেটে স্নান করতেন। এদিনও সেই নিয়মের পরিবর্তন হয়নি। সকালে স্থানীয় মাঠে দৌড়ে গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নামেন। তার পর হঠাৎই তলিয়ে যান।
খবর পেয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও তপন দাসগুপ্ত গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে যান। পৌঁছয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চলে তল্লাশি।
বিধায়ক তপন দাসগুপ্ত জানান, আগে অনেক লোককে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে সুরেন্দর। এদিন স্নান করতে নেমে অসুস্থ হয়ে গঙ্গায় ডুবে যান তিনি। অসিত মজুমদার বলেন, "যে জলে ডোবা থেকে বাঁচাতে পারে সেই জলে ডুবে গেলে সেটা নিয়তি ছাড়া আর কি।" প্রৌঢ়ের ভাই বীরেন্দর সাহানী বলেন, "দাদা খুব ভালো সাঁতার জানতেন। প্রতিদিন গঙ্গায় স্নান করতেন। এদিন স্নান করতে নেমে আর ওঠেননি।" হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতা চ্যাটার্জি বলেছেন, "আগামী নভেম্বর মাসে সুরিন্দরের মেয়ের বিয়ে। শুক্রবার লজ বুক করেছে।"