বালি পাচারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়াল দু’পক্ষ। ঘটনায় অন্তত ১২ জন জখম হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা-পুরুষ উভয়েই। তাঁদের বানারহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি মহকুমার বানারহাট থানার রাঙাতি নদীর চরে। রাতেই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছিল। যেই জায়গায় বালি রাখা হচ্ছিল, সেখানে একটি ছাগল গেলে সেটা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বালি তুলতে বাধা দেন। অভিযোগ, তখনই বালি পাচারকারীরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। কারও মাথা ফাটে, কারও হাত-পা কেটে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালি পাচারের বিরুদ্ধে বহুবার বিডিও থেকে শুরু করে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও শাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বালি পাচার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেও প্রশাসনের একাংশ নিষ্ক্রিয়। তারই জেরে রাতের অন্ধকারে রাঙাতি নদী থেকে যথেচ্ছহারে বালি তোলা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাঙাতি নদী বালি মাফিয়াদের হাতে পুরোপুরি চলে যাবে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।