• গাড়িচালকদের উদ্ধার না করায় ক্ষোভ, ফের ধস নামার আশঙ্কা, ছাতেন থেকে সরিয়ে আনা হল ৭৬ জওয়ানকে
    বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ফের বিপর্যয়ে আটকে পড়ার আশঙ্কা। ধস বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের ছাতেন থেকে এয়ারলিফ্ট করা হল ৭৬ জওয়ানকে। শনিবার সকালে তিনটি এমআই-১৭ কপ্টারে তাঁদের উদ্ধার করে পাকিয়ং বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। বিপর্যয়ের জেরে দিন কয়েক আগে ছাতেনে তিন জওয়ানের মৃত্যু এবং ৬ সেনাকর্মীর ধসে চাপা পড়ার ঘটনায় আপাতত সেখান থেকে জওয়ানদের সরানো হল বলে মনে করা হচ্ছে। নিখোঁজ জওয়ানদের খোঁজে অবশ্য তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে ভারতীয় সেনা।

    এদিকে, ধস বিধ্বস্ত এলাকা থেকে আপাতত আর কাউকে আকাশপথে উদ্ধার করা হবে না বলে এদিন জানানো হয়েছে সিকিম প্রশাসনের তরফে। এনিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ছাতেন, লাচেনে আটকে পড়া গাড়িচালকরা। তাঁদের বক্তব্য, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা পর্যটকদের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান। অথচ এতবড় বিপর্যয়ে তাঁদের কথা মাথায় রাখা হল না। ধসে কার্যত বিচ্ছিন্ন উত্তর সিকিমে বহু গাড়িচালক আটকে পড়েছেন। রাস্তা-সেতু উধাও হয়ে যাওয়ায় গাড়ি নিয়ে ফিরতে পারছেন না তাঁরা। এনিয়ে শোরগোল শুরু হতেই মঙ্গন জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ধস বিধ্বস্ত এলাকায় আটকে পড়া গাড়িচালকদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই তাঁদের ফেরানো হবে।

    সড়কপথ কার্যত বিচ্ছিন্ন থাকায় কপ্টারের সাহায্যে সিকিমের ধস বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। এদিন কপ্টারে ১৩০০ কেজি ত্রাণ ও জরুরি সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয় ছাতেনে। সেখান থেকে হাঁটাপথে লাচেনে তা নিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গনের ডিস্ট্রিক্ট প্রোজেক্ট অফিসার কর্ম দর্জি বলেন, ধসের জেরে লাচেন ও ছাতেনে আটকে পড়া ১৪০ জনেরও বেশি পর্যটককে কপ্টারে উদ্ধার করা হয়েছে। আর কোনও পর্যটক আটকে নেই সেখানে। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা, সেতু মেরামত করে সড়কপথে উদ্ধার করা হয়েছে লাচুংয়ে আটকে পড়া ১৮৭৬ জন পর্যটককে। এখন দুর্গত এলাকায় যথাসম্ভব ত্রাণ পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে।
  • Link to this news (বর্তমান)