সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: বন্ধ হয়ে গেল আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের তুরতুরি চা বাগান। শুক্রবার রাতে সাসপেনশন অব ওয়ার্ক-এর নোটিস ঝুলিয়ে বাগান ছাড়ল মালিকপক্ষ। কাজ হারালেন ৫০১জন চা শ্রমিক। শনিবার সকালে কাজে এসে শ্রমিকরা বাগান বন্ধের খবর জানতে পারেন। বাগান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব।
শ্রমিকদের ৮টি পাক্ষিক মজুরি বকেয়া রয়েছে। বকেয়া রয়েছে ২বছরের বার্ষিক ছুটির মজুরিও। এছাড়াও ৫০জনের গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বকেয়া রেখেই মালিকপক্ষ রাতের অন্ধকারে বাগান ছাড়ে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা। তাঁরা জানান, শনিবার মালিকপক্ষের বকেয়া মজুরি দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই রাতারাতি বাগানের সমস্ত স্টাফ চম্পট দেয়।
তুরতুরি চা বাগান বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে এদিন বাগানে আসেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ। তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মালিকপক্ষ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। বিধায়ক বলেন, মালিকপক্ষ স্বৈরাচারী আচরণ করছে। তাঁরা শ্রমিকদের বিপাকে ফেলে বাগান ছেড়ে চলে গেল। রাজ্য সরকারের উচিত মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সিটুর জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ গুন বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া। শ্রমিকরা আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মালিকপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে গেল। এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
আগামী সোমবার, শ্রমদপ্তর তুরতুরি চা-বাগান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছে। সোমবারের ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাগানের শ্রমিকরা। যোগাযোগের চেষ্টা করেও মালিকপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নিজস্ব চিত্র।