জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার না হওয়ায় বাড়ছে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বহরমপুর: একমাস গ্রীষ্মের ছুটির পর জেলার সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। তার আগে পঠনপাঠনের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কিন্তু বহু স্কুলে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার না হওয়ায় অভিভাবক মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁদের অভিযোগ, একমাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় পানীয় জলের ট্যাঙ্কে স্বাভাবিকভাবে ময়লা জমেছে। জলের পাইপ লাইনে শ্যাওলা জমেছে। সেগুলি পরিষ্কার না করে সেই জল পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ওই জল পানে নানারকম রোগ, জীবানুর সংক্রমণ হতে পারে। অভিভাবকদের দাবি, পড়ুয়াদের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে স্কুল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। বহরমপুর সদর পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস দে বলেন, অভিভাবকদের যুক্তি খুবই সঙ্গত। চক্রের সমস্ত স্কুলগুলিকে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে। এক-দু’দিনের মধ্যেই ট্যাঙ্ক ও পাইপ লাইনের কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার ২৬টি ব্লকে মোট ৩ হাজার ১৮২টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা ৬ লক্ষ ১০ হাজার ২৬৫জন। গত ২৯মে সমস্ত স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ২ জুন সোমবার সমস্ত স্কুলে ফের পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ সহ স্কুল চত্বর পরিচ্ছন্ন করেই স্কুল খোলা হয়েছে। কিন্তু বহু বিদ্যালয়ের পানীয় জলের ট্যাঙ্ক ও পাইপ লাইন পরিষ্কার করা হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়ে অভিভাবকদের একাংশ সোচ্চার হতে শুরু করেছেন। কোথাও কোথাও একই দাবিতে অভিভাবকরা সঙ্ঘবদ্ধ হতে শুরু করেছেন। সদর পশ্চিম চক্রের ২ নম্বর তেজপাল লোহিয়া জিএসএফপি স্কুলের এক অভিভাবক বলেন, স্কুলের পঠনপাঠন নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু পড়ুয়াদের সুস্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া উচিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। স্কুল কর্তৃপক্ষের গরমের ছুটির পর পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা উচিত ছিল। আমাদের দাবি, অবিলম্বে তা করা হোক। মণীন্দ্রনগর এলাকার এক অভিভাবক অচিন্ত্য সাহা বলেন, একমাস বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে। কিন্তু স্কুল খোলার আগে পড়ুয়ারা কী জল খাচ্ছে সেদিকে শিক্ষকদের খেয়াল রাখা উচিত। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর ভরসা করেই আমরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাই। এই সমস্যা শুধু সদর পশ্চিম চক্রের নয়। জেলার বহু স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে।