ওন্দায় দ্বারকেশ্বর থেকে প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার
বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: শনিবার ওন্দায় দ্বারকেশর নদ থেকে প্রাচীন মূর্তি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন সকালে ওন্দার সান্তোর অঞ্চলের ওলা-দুবরাজপুর সংলগ্ন মন্দিরতলা এলাকার বালিঘাট থেকে ওই মূর্তিটি উদ্ধার হয়। সেখানে বালি তোলার সময় শ্রমিকরা মূর্তিটি দেখতে পান। তাঁরা সেটিকে নদের পাড়ে তুলে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মূর্তিটি এলাকার একটি মন্দিরে যান। গ্রামবাসীরা মূর্তিটিকে ঘিরে পুজো অর্চনাও শুরু করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্ধার হওয়া বিগ্রহটি লোকেশ্বর বিষ্ণুমূর্তি। বারো হাত বিশিষ্ট মূর্তিটি আনুমানিক খ্রিষ্টিয় একাদশ-দ্বাদশ শতকে তৈরি করা হয়েছিল। সেটি বাদামি বেলে পাথরে নির্মিত বলে ক্ষেত্রসমীক্ষকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ সিদ্ধান্ত বলেন, এদিন উদ্ধারের পর মূর্তিটি ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়। তারপর সেটি গ্রামের মন্দিরে রাখা হয়েছে। আগামী দিনে গ্রামে একটি পৃথক মন্দির নির্মাণ করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। সেখানে ওই মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি আরও বলেন, দ্বারকেশ্বরের তীরে বহু বছরের পুরানো একটি জীর্ণমন্দির ছিল। সেটি পরবর্তীকালে নদের ভাঙনে তলিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি ওই মন্দিরের হতে পারে বলে আমাদের অনুমান।
ওন্দা থানার এক আধিকারিক বলেন, মূর্তি উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয়দের একাংশ পুরাতত্ব বিভাগকে জানিয়েছেন। ওই দপ্তরের লোকজন দু-একদিনের মধ্যেই এসে মূর্তিটি নিয়ে যাবে। তার আগে যাতে সেটি সুরক্ষিত থাকে তা দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পুরাতত্বের দিক দিয়ে বাঁকুড়া অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য জেলা। এর আগেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রাচীন মূর্তি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গত ডিসেম্বর মাসে খাতড়ায় শীলাবতী নদী থেকে একটি প্রাচীন জৈন মূর্তি উদ্ধার হয়েছিল। খাতড়া ব্লকের বৈদ্যনাথপুর অঞ্চলের জগন্নাথপুর গ্রাম লাগোয়া নদীতে স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের জালেই ওই মূর্তিটি আটকে যায়। পরে সেটিকে তাঁরা নদীর পাড়ে নিয়ে যান। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। সেটিকে খাতড়া ব্লক প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়। পরে সেটিকে সংরক্ষণ করা হয় বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। -নিজস্ব চিত্র