জুনের মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারাজের রাস্তা সংস্কারের লক্ষ্যমাত্রা শেষ
বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: জুন মাসের মধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারাজের উপরের রাস্তা সংস্কার শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পুরোদমে বর্ষা নামলে দামোদর নদের উপর তৈরি বিকল্প অস্থায়ী রাস্তা জলের তলায় চলে যাবে। ফলে যান চলাচলে সমস্যা হবে। সেজন্য তাড়াতাড়ি ব্যারাজের রাস্তার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
তবে শনিবার ব্যারাজে গিয়ে দেখা গেল, কাজ খুব ধীরগতিতে চলছে। গুটিকয়েক শ্রমিক ব্যারাজের উপর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় এদিন ব্যারাজে গিয়ে সংস্কারকাজ খতিয়ে দেখেন। তিনি বিধানসভার অধিবেশনে ব্যারাজের কাজ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ইদুজ্জোহা উপলক্ষ্যে শ্রমিক ও মিস্ত্রিদের বড় অংশ ছুটিতে বাড়ি গিয়েছেন। সেকারণে তিনদিন ধরে সেভাবে কাজ হচ্ছে না। তবে জুন মাসের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি।
বিধায়ক বলেন, এখন ব্যারাজের রাস্তার সংস্কার ৮০ শতাংশেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। ১৫জুনের মধ্যে বাকি কাজ হয়ে যাবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার সংস্থার লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। আমি কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যদের কাছে এবিষয়ে রিপোর্ট পেশ করব।
বহুদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ব্যারাজের রাস্তা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। সেজন্য সেতু ও রাস্তার আমূল সংস্কারের প্রয়োজন পড়ে। তাই দুই লেনবিশিষ্ট ব্যারাজের রাস্তা সংস্কার সহ অন্য কাজের জন্য প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বড়জোড়া থেকে দুর্গাপুরমুখী রাস্তার ডানদিকের লেনের কাজ প্রথমে হয়। ওই লেনের কংক্রিটের কাজ পুরোটাই হয়ে গিয়েছে। তার উপর পিচের আস্তরণও পড়েছে। বাঁদিকের লেনে কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। এখন ব্যারাজের উপর দিয়ে শুধু বাস চলাচল করছে। সাইকেল, বাইক সহ অন্য গাড়ি দামোদর নদের উপর তৈরি অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। পণ্যবাহী ভারী যানবাহন বর্ধমানের সদর ঘাট ও ১৪নম্বর জাতীয় সড়কের মেজিয়া সেতু হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাঁকুড়ার বাসিন্দা কৃপাসিন্ধু হালদার বলেন, কাজের জন্য প্রায়ই বাইকে দুর্গাপুর যেতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই নদীর উপর অস্থায়ী রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। বর্ষার সময় ওই রাস্তা জলের তলায় চলে যাবে। সেজন্য ব্যারাজের রাস্তা বাইক চলাচলের জন্য খুলে দিলে ভালো হয়।
দুর্গাপুর থেকে ঘুরপথে পণ্য আনায় বাঁকুড়ার বাজারে জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেই তাঁরা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ব্যারাজের রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হলে জিনিসপত্রের দাম কমবে বলে তাঁরা মনে করছেন।