নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: রান্নার কাজ করতে গিয়ে একের পর এক সোনার গয়না ও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল বাড়ির পরিচারিকা। বাড়ির কেউ বিষয়টি টের পায়নি। হঠাৎ একদিন আলমারি খুলতেই দেখা যায়, অধিকাংশ গয়না উধাও। নগদ টাকাও নেই। পরিবারের লোকজন বহরমপুর থানার দারস্থ হয়। তদন্তে নেমে বাড়ির পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ হয় পুলিসের। তাকে গ্রেপ্তার করতেই রহস্য উন্মোচন হয়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুলতা মাহাত। তার বাড়ি বহরমপুরের ধোপঘাটি এলাকায়। ধৃতকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতের কাছ থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং আট ভরি সোনার গয়না উদ্ধার করে পুলিস।
জানা গিয়েছে, বহরমপুর শহরের বাবুলবোনা রোড সংলগ্ন একটি বাড়িতে তিন বছর ধরে রান্নার কাজ করত সুলতা। বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সে ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রীর সোনার গয়না ও টাকা চুরি করে। মাঝেমধ্যে একটি-দু’টি করে গয়না সরাতে থাকে। তবে পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে, সুলতা দাবি করে, ওই গৃহকর্ত্রী অসুস্থ থাকায় সে সেবা শুশ্রুষা করত। বাড়িতে অসুবিধার জন্য সুলতার টাকার দরকার হয়। গৃহকর্ত্রীকে জানালে, তিনি কিছু টাকা এবং সোনার গয়না তার হাতে তুলে দেন। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে সুলতা জানিয়েছে, প্রতিমাসে আড়াই হাজার টাকা বেতন পেত সে। তবে গৃহকর্ত্রীকে দেখভাল করার জন্য তাকে উপরি হিসেবে নগদ টাকা দেওয়া হতো।
বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, ওই বাড়ির ছেলে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত শুরু করে পরিচারিকাকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জেরার পর তার বাড়ি থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং আট ভরি সোনার গয়না পেয়েছি। অভিযুক্ত প্রায় এক বছর ধরে এই গয়না ও টাকা চুরি করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। চুরির দায়ে গ্রেপ্তার মহিলা। -নিজস্ব চিত্র