মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষাকর্তাই এবার তলিয়ে গেলেন গঙ্গায়
বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: জীবনভর অনেক মানুষকে জলে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন। চুঁচুড়ার সেই জলসাথী নিজেই তলিয়ে গেলেন জলে। শনিবার সকালে চুঁচুড়ার পুরনো লঞ্চ ঘাটে বছর পঞ্চাশের সুরেন্দ্র সাহানি স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান। রাত পর্যন্ত তাঁর হদিশ মেলেনি। এই ঘটনার পর শোকের ছায়া পরিচিত মহলে। পাশাপাশি ছড়িয়েছে বিস্ময়। রাতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি হয়েছে। কিন্তু সুরেন্দ্রবাবুর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, স্নান করতে জলে নামার পর সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুরেন্দ্র। ফলে তলিয়ে যান। লঞ্চ ঘাট এলাকার বাসিন্দা সুরেন্দ্র চুঁচুড়া লঞ্চ পরিষেবা সংস্থার কর্মী ছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত ও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ওই এলাকায় যান। সুরেন্দ্রবাবু ঘনিষ্ঠ ছিলেন সপ্তগ্রামের বিধায়কের। তিনি বলেন, বীরেন্দ্র দক্ষ সাঁতারু ছিল। ও জলে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যেতে পারে তা কল্পনাতেও ভাবিনি। কত মানুষকে যে জল থেকে বাঁচিয়েছে, হিসেব করা যাবে না।
জলসাথী হিসেবে আমরা বারবার ওঁর সাহায্য নিয়েছি। খুবই মর্মান্তিক ও বিস্ময়কর ঘটনা। চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য জয়দেব অধিকারী বলেন, উনি তলিয়ে যাওয়ার পর তল্লাশি চালানো হয়েছে। সম্ভবত শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণেই ডুবে যান।
সুরেন্দ্রর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো সকালে চুঁচুড়া ময়দানে হাঁটতে যান তিনি। ফেরার পর আটটা নাগাদ যান গঙ্গায় স্নান করতে। সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর নাতি, দাদুর খোঁজ করলে খোঁজখবর শুরু হয়। তখনই জানা যায়, জলে নেমে আর ওঠেননি জলসাথী। নভেম্বরে তাঁর ছোট মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। শুক্রবার তিনি পুরসভার লজ ভাড়া করেছিলেন। গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার জেরে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে।