• সাতদিনের মধ্যে একই ব্যক্তির দু’বার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মিলল ভিন্ন রিপোর্ট! বিস্মিত হাইকোর্ট
    বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একই ব্যক্তির দুই রকমের শারীরিক পরীক্ষা রিপোর্ট! তাই দেখে বিস্মিত হাইকোর্ট। একই ব্যক্তির শরীরের একটি নির্দিষ্ট অঙ্গ পরীক্ষায় ভিন্ন রিপোর্ট কীভাবে হতে পারে? এই প্রশ্ন তুলে আধাসেনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় রীতিমতো সংশয় প্রকাশ করেছে আদালত। 

    আধাসেনায় নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন এরাজ্যের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় মালিক। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর তিনি শারীরিক পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন। এরপরই ছিল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা বা মেডিকেল এগজামিনেশনের পালা। আর তাতেই আটকে যান মৃত্যুঞ্জয়। ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর তাঁর প্রথম যে শারীরিক পরীক্ষা হয়, তাতে মৃত্যুঞ্জয়ের কনুই সংক্রান্ত সমস্যার কথা উল্লেখ করে তাঁকে বাতিল করা হয়। এরপর মৃত্যুঞ্জয় ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি জানান। তা গ্রহণ করে আধাসেনা কর্তৃপক্ষ। সেই মতো পয়লা নভেম্বর ফের মৃত্যুঞ্জয়ের শারীরিক পরীক্ষা হয়। এবার রিপোর্ট ভিন্ন আসে। বলা হয়, কনুইয়ে অন্য খামতির কারণে তাঁকে আধাসেনার ওই পদে আনফিট হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। কিন্তু একই কর্তৃপক্ষ মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে একটি নির্দিষ্ট অঙ্গে পরীক্ষার পর কীভাবে ভিন্ন রিপোর্ট দিতে পারে? এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃত্যুঞ্জয়। সম্প্রতি বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে ভিন্ন রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। নির্দেশে বিচারপতি জানান, ইস্টার্ন কমান্ড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধানকে ফের মামলাকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। এছাড়াও বিচারপতি নির্দেশে জানান, ইতিমধ্যেই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে মামলাকারী যদি ওই পদের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন, সেক্ষেত্রে আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মামলাকারীকে নিয়োগের জন্য একটি পদ খালি রাখতে হবে আধাসেনা কর্তৃপক্ষকে।
  • Link to this news (বর্তমান)