• কারচুপি! বাংলাদেশে আন্দোলনে শামিল যুবক কাকদ্বীপের ভোটার
    বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: কাকদ্বীপে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে। এবার সেখানকার ভোটার তালিকায় হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত এক ব্যক্তির নাম। তাঁর নাম নিউটন দাস। তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও ভোটার কাকদ্বীপের। এখানে ভোটও দিয়েছেন। 

    আন্দোলনরত নিউটন দাসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তিনি কীভাবে দু’দেশের ভোটার হলেন তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তাঁর দাদা অবশ্য জানিয়েছেন, ‘ভাই এখানে থাকেন না।’ তবে এর ঠিক উল্টো কথা বলছেন নিউটন নিজে। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে তিনি কাকদ্বীপের বাসিন্দা। বিরোধীরা এই ইস্যুতে শাসকদলকে চেপে ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে। জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা মোতাবেক নিউটনবাবু কাকদ্বীপের স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষনগর প্রথম ঘেড়ির বাসিন্দা। ভারতে প্রথমে এসেছিলেন তাঁর দাদা তপন দাস। ২০১১ সালে বাংলায় এসে ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন। পরে বাংলায় আসেন নিউটন। নামখানার একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে আবার বাংলাদেশে ফিরে যান।

    বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনে নিউটনের ছবি ভাইরাল হতেই আসরে নেমেছে বিজেপি। তারা কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় সেই নাম খুঁজে বের করে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অশোক পুরকাইত বলেন, ‘বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে।’ নিউটনের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও অভিযোগ। সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ দাসের সঙ্গে নিউটনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে দেবাশীষবাবু বলেছেন, ‘দেবনগর স্কুলে ক্লাস ফাইভ থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। কিন্তু ওঁর যখন ২০১৪ সালে ভোটার কার্ড তৈরি হয় তখন আমি কলকাতায় পড়াশোনা করি। রাজনীতিতে আসিনি। অতএব এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই।’ ‘বহুদিন ভাইয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই’-বলে দাবি করেছেন তপনবাবু। পাশাপাশি নিউটন যে বাংলাদেশে থাকেন সে কথা জানিয়েছেন। বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তায় নিউটনবাবু নিজে বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমি কাকদ্বীপের ভোটার। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে এসেছিলাম। সেখানে গণ আন্দোলনে আটকে পড়েছি।’ তবে অনেকের বক্তব্য, ‘আটকে পড়ার দাবির সঙ্গে যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তার কোনও মিল নেই।’
  • Link to this news (বর্তমান)