ধৃত আলিপুরের আইনজীবীর ফোন থেকে পুলিসের হাতে ‘চক্রী’র নাম!
বর্তমান | ০৮ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: অশোকনগর কিডনিচক্রে ধৃত আইনজীবী প্রদীপ কুমার বরের মোবাইল থেকে একাধিক নতুন তথ্য এল পুলিসের হাতে। স্থানীয় ছাড়াও ভিন রাজ্যের গ্রহীতারা মোটা টাকা ‘প্রণামী’ পাঠাতেন প্রদীপের অ্যাকাউন্টে। কিডনি পাচার নিয়ে ধরপাকড় হতেই অবশ্য বেশ কিছু নথি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মুছে ফেলেছে প্রদীপ। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনা নিয়ে পুলিস বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জেরা করতে চাইছে প্রদীপকে। পুলিসের দাবি, কিডনি পাচারে অন্তত ১০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে প্রদীপ মারফত। এছাড়া, এই চক্রের পিছনে আরও কিছু দালালের যোগ দেখছে পুলিস। তাই, ধৃত আইনজীবীর ফোন কল, হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তা উদ্ধার করে আরও গভীরে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, অশোকনগরে কিডনি পাচারকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন আলিপুর আদালতের আইনজীবী। এর আগে আরও পাঁচজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। বেআইনি কাগজ তৈরি থেকে এফিডেভিট করানো সবটাই করত প্রদীপ। ইতিমধ্যেই ধৃত আইনজীবীর মোবাইল থেকে কিডনিদাতা, গ্রহীতা সহ বেশ কয়েকজন দালালের নাম জানতে পেরেছে পুলিস। এই চক্রে ধৃত দালাল অমিত জানাকে এর আগে জেরা করেও আরও কয়েকজন দালালের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার ধৃত আইনজীবীর মোবাইল থেকে পাওয়া দালালের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ধৃত আইনজীবীর ফোনে একাধিক চক্রীর নাম উঠে এসেছে। তারা গোটা চক্রের কর্মী হিসাবে কাজ করত। মূলত, খদ্দের ধরা ও মানুষকে কিডনিদানে উৎসাহিত করত। প্রয়োজনে তারা সবরকম আইনি সহযোগিতার কথা বলত।
তবে, তদন্তের স্বার্থে এখনই এই চক্রের ভূমিকা খোলসা করছে না পুলিস। এনিয়ে বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, শনিবার ঈদের ব্যস্ততার জন্য ধৃত আইনজীবীকে জেরা করা যায়নি। প্রদীপের ফোন থেকে আর্থিক লেনদেন সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। এবার ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ফাইল চিত্র