সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: মাসির মৃত্যুর পর মেসোমশাইয়ের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক তৈরি হয়েছিল। যদিও পরিবারের অন্যরা এই সম্পর্কে রাজি না ছিলেন না। এর জেরে আমতা থানা এলাকায় আত্মঘাতী হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। শনিবার সকালে আমতা থানার পুলিস বাড়ি থেকে ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। যদিও পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর মানসিক সমস্যা ছিল। দু’বছর ধরে তার চিকিৎসাও চলছিল।
মৃত ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে নাবালিকার মাসির মৃত্যু হয়। এরপর দুটি পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। সেই সুবাদে মেসোর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে নাবালিকা। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, নাবালিকাকে একটি মোবাইল ফোনও কিনে দিয়েছিলেন মেসো। সপ্তাহ খানেক আগে ওই নাবালিকা পরিবারের সদস্যদের জানায় যে, সে মেসোকে বিয়ে করতে চায়। এরপরেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। নাবালিকা যাতে মেসোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে, সে জন্য পরিবারের লোকজন মোবাইলটিও ভেঙে দেয়। শুক্রবার নাবালিকার মা-বাবা ও ভাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তার দাদু ও অন্যরা ছিলেন। কিন্তু শনিবার সকালে নাবালিকাকে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মৃত ছাত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। মৃত ছাত্রীর বাবা জানান, মাস দুয়েক আগে ওর মাসির মৃত্যু হয়। তারপর থেকে ও মেসোর সঙ্গে কথা বলত। এরপর মেসো ওকে একটা ফোনও দেন। মেসো মাঝেমধ্যে বাড়িতেও আসতেন। কিন্তু আমাদের একবারের জন্যও মাথায় আসেনি যে, মেসোর সঙ্গে ওর সর্ম্পক হতে পারে। এরপর হঠাৎ বলে, মেসোকে বিয়ে করব। তদন্ত শুরু করেছে আমতা থানার পুলিস।