এই সময়, বর্ধমান: মা-বাবাকে খুনে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবীরকে এখন নানা ধরনের বই জোগাড় করে দিতে হিমশিম খাচ্ছে মেমারি থানার পুলিশ। আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে হুমায়ুন কখনও চাইছে গল্পের বই, কখনও খবরের কাগজ। খুঁটিয়ে পড়ছে সবটাই।
একই সঙ্গে সে দিনে পাঁচবার নমাজও পড়ছে থানার লকআপের ভিতরেই। শনিবার কুরবানির ঈদের দিনে সে দুপুরে মাংস খাবে কি না, জানতে চেয়েছিল পুলিশ। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে হুমায়ুন, সে মাংস খায় না।
এদিন দুপুরে তার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ভাত, ডাল, তরকারি ও মাছ। দু’জন করে পুলিশকর্মী পালা দিয়ে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছেন তার উপরে। বনগাঁ থানায় লকআপে থাকার সময়ে পুলিশকে সে মেজাজ দেখিয়েছিল বার বার। তবে মেমারি থানায় সে অনেকটাই শান্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বুধবার মেমারি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মোড় কাজিপাড়ায় মা মমতাজ পারভিন ও বাবা মুস্তাফিজ়ুল রহমানকে গলা কেটে খুন করে বাড়ির সামনের রাস্তায় তাঁদের দেহ ফেলে পালায় হুমায়ুন।
সেই দিনই রাতে বনগাঁর একটি মাদ্রাসায় গিয়ে হামলা চালিয়ে চার জনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সে। ওই হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। বনগাঁর আদালত তাকে প্রথমে পাঠায় পুলিশ হেফাজতে ও তার পরে দমদমের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।
মেমারিতে খুনের ঘটনাতেও হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়ে সেখান থেকেই আদালতের নির্দেশে তাকে বৃহস্পতিবার বর্ধমানে নিয়ে আসে মেমারি থানার পুলিশ।
ওই দিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে হুমায়ুনকে হাজির করা হলে পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক তাকে সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান। মেমারি থানাতেই তার জেরা চলছে। পুলিশ বোঝার চেষ্টা করছে, কেন মা-বাবাকে খুন করেছে হুমায়ুন। জানা গিয়েছে, পুলিশ এ বার তাকে দিয়ে খুনের ঘটনার পুর্নগঠন করাবে।