এই সময়, নানুর: ঘটা করে উদ্বোধনই সার। কিছুদিন পরেই বিকল ‘ওয়াটার এটিএম’। পাওয়া যাচ্ছে না জল। চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি-র এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে এই এটিএমগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল।
পথচারী, স্থানীয় মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য নানুর ব্লকের কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড, খুজুটিপাড়া বাসস্ট্যান্ড, নানুর থানা চত্বর এবং বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে একটি করে ‘ওয়াটার এটিএম’ বসানো হয়।
প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খরচ করে কাউন্টারে একটি করে সাবমার্সিবল পাম্প-সহ জল পরিশ্রুত করার ব্যবস্থা করা হয়। সংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে কাউন্টারগুলিতে দু’টাকার কয়েন দিয়ে এক লিটার করে পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়ার কথা।
বিধায়ক ও বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকের উপস্থিতিতে ‘ওয়াটার এটিএম’ কাউন্টারগুলি উদ্বোধন করাও হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দেখাশোনার অভাবে উদ্বোধনের কিছুদিন পরেই কাউন্টারগুলো বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।
একে একে লোপাট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রও। অথচ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কীর্ণাহার বাসশ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক শেখ আবদুল্লা, খুজুটিপাড়া বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী মনসুর আলিরা বলেন, ‘উদ্বোধনের দশ দিন পরেই জল খাওয়ার এটিএমগুলো খারাপ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও চালু করার ব্যবস্থা হয়নি। পথচারী এবং যাত্রীদের চড়া দামে কিনে, অপরিশোধিত জল খেতে হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট কীর্ণাহার-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সরেশ সান্তারা এবং নওয়ানগর কড্ডা পঞ্চায়েত প্রধান নিরুপমা মণ্ডল বলেন, ‘ওয়াটার এটিএম মেরামতের জন্য স্থানীয় স্তরে কোনও মিস্ত্রি পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’
তৃণমূল বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি এবং বিডিও সন্দীপ সিংহ রায় বলেন, ‘এগুলো চালু করার জন্য প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’