• টেস্ট বাড়ায় সহজেই চিহ্নত হচ্ছে কোভিড, নজর স্বাস্থ্যভবনের
    এই সময় | ০৮ জুন ২০২৫
  • এই সময়: হাত-পা কিংবা শরীরের কোনও অংশে ব্যথা, জ্বর, দুর্বলতা এবং পেশিতে টান ধরার সমস্যা কয়েক দিন থাকলে তা অবহেলা করা চলবে না। বিশেষ করে বাড়ির প্রবীণ এবং শিশুদের এই সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পাশাপাশি আরটি-পিসিআর কিংবা র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কারণ, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা।

    চিকিৎসক দীপক দাসের কথায়, ‘এখন যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ থাকছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা টেস্ট করাচ্ছেন না। এই আক্রান্তদের থেকেই আশেপাশের মানুষের মধ্যে স​ংক্রমণ ছড়াচ্ছে।’

    করোনার আগের মতো মারাত্মক রূপে না থাকলেও যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের জ্বর, সর্দি, শরীরের কোনও অংশে ব্যথা হলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, করোনায় সিংহভাগ মৃত্যু হচ্ছে শিশু ও প্রবীণদের।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫,৭৫৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে কেরালায় ১,৮০৬ জন, গুজরাটে ৭১৭ জন, দিল্লিতে ৬৬৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২২ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৮ জন। মহারাষ্ট্রে ৫৭৭ জন, কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশে যথাক্রমে ৪৪৪ জন এবং ২০৮ জনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।

    গত কয়েক সপ্তাহে দেশে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় চার জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জন মধ্যপ্রদেশের ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। অন্য দু’জনের মৃত্যু শুধুমাত্র করোনায় নাকি নেপথ্যে আরও কোনও কারণ রয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

    স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সব জেলা হাসপাতালেই করোনার চিকিৎসায় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। আগের তুলনায় প্রবীণ এবং ছোটদের মধ্যে টেস্টের হারও বেড়েছে। ফলে রোগী শনাক্ত করতে সুবিধে হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)