আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রোডকাশন হাউস খুলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ দেওয়ার নাম করে ডাকা হত মেয়েদের। আর এই সমস্ত কিছুর আড়ালে রমরমিয়ে চলত পর্নোগ্রাফির ব্যবসা। মেয়েদের ডেকে এনে ঘরে বন্দি করে রাখা হত। অফার দেওয়া হত বার ডান্সারের কাজ করার। বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে এল বাকড়ার বাসিন্দা আরিয়ান খান এবং তার মা শ্বেতা খানের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আরিয়ান বর্তমানে পলাতক। পুলিশ সূত্রে খবর, সোদপুর সুখচর এলাকার বাসিন্দা বছর ২৩ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে হাওড়ার ডোমজুড়ের আরিয়ান খানের পরিচয় হয়।
অভিযোগ, ওই তরুণীকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের প্রস্তাব দিয়ে আরিয়ান ডেকে পাঠায় তার হাওড়ার বাড়িতে। এরপর তরুণী কাজের জন্য ওখানে গেলে আরিয়ান খান ও তার মা শ্বেতা খান তরুণীকে তাদের বাড়িতে আটকে রাখে। তরুণীর অভিযোগ, তার মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল মা ও ছেলে। বাড়িতে বন্দি করে রেখেই তরুণীকে জানানো হয়, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কোনও কাজ নেই। বার ডান্সারের কাজ করতে হবে। তার জন্য তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কিন্তু ওই তরুণী রাজি না হওয়ায় তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাকে তাদের বাড়িতে আটকে রেখে জোর করে করানো হয় বাড়ির কাজ। কথা না শুনলেই চলত নির্মম অত্যাচার। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর শরীরের একাধিক জায়গায় মারের দাগ দেখা গিয়েছে। এমনকি, মাথার চুল কেটে দেওয়া, গোপনাঙ্গে রড ঢোকানোর চেষ্টা, মারধরের সময় চিৎকার করলে দেওয়া হত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি।
শনিবার ভোরে ডোমজুড়ের ওই বাড়ি থেকে কোনওরকমে পালিয়ে সোদপুরে নিজের বাড়িতে চলে আসেন তরুণী। এরপরই তাঁকে খড়দহ বলরাম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ইতিমধ্যেই, আরিয়ান এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে খড়দহ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। ডোমজুড় এবং খড়দা থানার পুলিশ একসঙ্গে হানা দিয়েছিল ডোমজুড়ের ওই বাড়িতে। কিন্তু মা এবং ছেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।