রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভিড় বাড়তেই দিঘায় শুরু কালোবাজারি! এক হাজার টাকার ঘরের ভাড়া ৪ হাজার! কোনও কোনও হোটেলে তা আরও দু’-তিনগুন বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সপ্তাহান্তের ছুটি, সঙ্গে ইদ ও সামনে আবার জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। সেই উপলক্ষে দিঘায় উপচে পড়ছে ভিড়। তিল ধারণের সৈকত নগরীতে। হোটেলগুলিতে ঝুলছে ‘হাউসফুল’ বোর্ড। এই অবস্থায় মাথা গোঁজার জন্য একফালি ঘর পেতেই রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে দিঘায় আগত পর্যটকদের। একই ছবি মন্দারমণিতেও। কেউ কেউ তো দিঘায় ঘর না পেয়ে কাঁথিতে এসে হোটেল ভাড়া নিয়ে থাকছেন। অভিযোগ, এরই মধ্যে সুযোগ বুঝে কিছু হোটেল আবার অতিরিক্ত টাকা দাবি করে বসছে। হাত পাকাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। যদিও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওল্ড থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক হোটেলের প্রায় কোনও ঘর ফাঁকা নেই। হোটেল মালিকরা বলছেন, এখনই এই ভিড়ের চাপ কমছে না। দিঘা লাগোয়া শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণিও একই ছবির সাক্ষী। হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির তথ্যও বলছে একই কথা। ভিড় সামাল দিতে মাঠে নেমেছে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। মেরিন ড্রাইভ থেকে শুরু করে, ১১৬ বি জাতীয় সড়ক পর্যন্ত সর্বত্রই শুধু গাড়ির সারি।
অন্যদিকে পর্যটকদের অভিযোগ, ভিড়ের সুযোগ বুঝে অধিকাংশ হোটেলই বাড়তি টাকা চাইছে। কোনও কোনও হোটেলে এক্বেবারে চার-পাঁচগুন বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাতে আরও বাড়ছে সমস্যা। দিঘায় পর্যটক হেনস্তা ও যে কোনও সমস্যার জন্য প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন খোলা হয়েছে আগেই। পুলিশ জানিয়েছে সমস্যা হলেই তাতে ফোন করতে পারবেন পর্যটকরা।
একইসঙ্গে জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা উপলক্ষেও ইতিমধ্যেই সেজে উঠতে শুরু করেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। রথযাত্রায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা রয়েছে। তাই আগাম সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তার খোঁজখবর নিচ্ছেন জেলাশাসক। সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিয়ে বৈঠকও করছেন।