রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহের মৃত্যু, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর কোমর ভেঙে দিতে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর আবহে সেনাকে সম্মান জানিয়ে আসন্ন রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে বিশেষ প্রস্তাব আনতে চলেছে শাসকদল। আগামী ১০ জুন অধিবেশনে সেই প্রস্তাব আসতে চলেছে। কিন্তু প্রস্তাব পেশের আগেই গেরুয়া শিবিরে এনিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের দাবি, সেনাকে সম্মান জানানোর ওই প্রস্তাবে নেই অপারেশন সিঁদুরের নামই! যা সেনার কৃতিত্ব খাটো করে দেখানোর শামিল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার পরিকল্পিতভাবেই তা করতে চলেছে বলে বিজেপির অভিযোগ। তাই আসন্ন অধিবেশন এই ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে চলেছে বিরোধী দল।
৯ জুন, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। ওইদিন শোকপ্রস্তাব পাঠের পর অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাবে। পরেরদিন, ১০ তারিখ সেনাকে সম্মান জানিয়ে শাসকদলের তরফে বিশেষ প্রস্তাব আনবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। খসড়া অনুযায়ী, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের নিহত হওয়ার প্রতিবাদ, জম্মু-কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে জনতার পাশে দাঁড়ানো-সহ একাধিক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রাথমিকভাবে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও পরবর্তী সময়ে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। তাদের বক্তব্য, প্রস্তাবে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নামটারই উল্লেখ নেই। তার অর্থ সেনার এত বড় কৃতিত্বকে ছোট করা, তাঁদের যথাযথ সম্মান না জানানো। তাই প্রস্তাব পেশের পর বিজেপির বিক্ষোভে অধিবেশন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শাসক শিবিরের পালটা দাবি, আসলে বিধানসভা অধিবেশন বানচাল করা, বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করার ছক করছে বিরোধীরা। তাই এমন সাধু উদ্যোগকেও সমালোচনা শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে শাসকদলের নেতাদের আরও বক্তব্য, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে কেন্দ্রের পাঠানো সংসদীয় সর্বদল প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নানা দেশে সেনার কীর্তি বর্ণনা করেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থেকেছেন। এরপরও রাজ্যে বিজেপি বিধায়করা এনিয়ে অযথা জলঘোলা করতে চাইছেন বলে পালটা সরব হতে পারে তৃণমূলও। ফলে মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।