সাবধান! গঙ্গায় নামলেই বিপদ, এই ঘাটগুলিতে ভুলেও যাবেন না, সতর্ক করল বন দপ্তর...
আজকাল | ০৯ জুন ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: শনিবার বাঁশবেড়িয়ার পঞ্চাননতলা এলাকায় গঙ্গায় দেখা মিলেছে কুমিরের। বাঁশবেড়িয়া পঞ্চাননতলায় ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর নীচে, গঙ্গার জলে কুমির ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। রবিবার বন দপ্তর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সেখানে গিয়ে কুমিরের খোঁজ চালায়।
গঙ্গার জলে কুমির, এই প্রসঙ্গে মানুষকে সচেতন করতে শুরু হয়েছে মাইক প্রচার। বাঁশবেড়িয়া পুরসভা লাগোয়া চুঁচুড়া পুরসভা। রয়েছে একাধিক গঙ্গার ঘাট। বহু মানুষ স্নান করতে আসেন সেই ঘাটগুলিতে। এছাড়া দৈনন্দিন বহু মানুষ ঘাটে আসেন গঙ্গা জল নিতে। এছাড়াও ভিড় হয় নানা সামাজিক অনুষ্ঠান, পুজো ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে। তাই অসাবধানতা বসত কাউকে যাতে কুমির টেনে নিয়ে না যায়, তার জন্য শুরু হয়েছে মাইক প্রচার।
এদিন সকাল থেকেই চুঁচুড়া ময়ূরপঙ্খি ঘাটে মাইক প্রচার করতে দেখা যায় চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারীকে। এদিন তিনি বলেছেন, কুমির দেখা গেছে গঙ্গায়। অনেকেই সেটা জানেন না। তাই যাঁরা গঙ্গায় নামেন, তাঁদের যাতে হঠাৎ বিপদ না হয় সেই কারণেই প্রচার। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। বনদপ্তর এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে প্রচারের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে। কেউ যাতে গঙ্গায় না নেমে পড়েন। যাঁরা দূর থেকে আসেন, তাঁরা হয়তো জানেন না গঙ্গায় কুমির আছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করার লক্ষ্যেই প্রচারের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে বাঁশবেড়িয়া ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী সহ বন দপ্তরের আধিকারিকরা। পরিদর্শন আসেন জেলা ফরেস্ট অফিসার তাপস দেব। যে জায়গায় কুমির দেখা গিয়েছিল, এদিন সেই জায়গায় পৌঁছে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তাপস দেব। সতর্ক করেন স্থানীয়দের। গঙ্গায় যেসব মৎস্যজীবীরা নৌকা নিয়ে বেরিয়েছেন তাঁদেরকে সতর্ক করেন। যদি কুমির বা ঘড়িয়াল জাতীয় কিছু গঙ্গায় নজরে পড়ে, তৎক্ষণাৎ আধিকারিকদের ফোন করে জানাতে বলেন।
এই প্রসঙ্গে বাঁশবাড়িয়া পুরসভার কাউন্সিলর দেবাশিস সাধুখাঁ বলেছেন, বন দপ্তরের আধিকারিক এসেছেন এবং পুরসভার পুরপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এলাকার মানুষদের সতর্ক করা হচ্ছে কেউ যেন গঙ্গার জলে না নামেন। তার জন্য মাইকিং প্রচার করা হচ্ছে। মাঝিদেরকেও সতর্ক করা হয়েছে। সকলকে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। গঙ্গায় এই ধরনের প্রাণী দেখা গেলে তাঁরা যেন ফোন করে জানান।
পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে। তিনিও বনদপ্তরকে জানিয়েছেন। এসডিওর নির্দেশে ভোর থেকে মাইকিং প্রচার করা হচ্ছে। চুঁচুড়া ও মগরা দুই থানার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রতিটা ঘাটে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। যাতে কেউ গঙ্গায় স্নান করতে না নামে। যদি কেউ কিছু দেখতে পান তার জন্য পুরসাথী নম্বর দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরাও স্পিডবোর্ড নিয়ে গঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।