• গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা স্বামী-ছেলের
    প্রতিদিন | ০৯ জুন ২০২৫
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন বাবা-মা ও একমাত্র সন্তান। ঘরে আগুন ধরে গিয়েছে, প্রথমে বুঝে উঠতে পারেননি। পরে তিনজনকেই বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে মৃত্যু হল গৃহিনীর। গৃহকর্তা ও শিশু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির চকতারাবৈদ্য গ্রামে। মৃতার নাম আনসুরা বিবি (২৬)। শর্টসার্কিট থেকে ওই আগুন লেগেছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সেই কথাই মনে করছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

    প্রতিদিনের মতোই গতকাল, শনিবার রাতে মোজাহার পুরকাইত, আনসুরা বিবি তাঁদের চার বছরের ছোট্ট সন্তান ওসমানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। একসময় ওই ঘরে আগুন লেগে যায়। প্রচণ্ড তাপে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। প্রাণে বাঁচার জন্য আর্তনাদ করতে থাকেন তাঁরা। পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন মোজাহারের দাদা। আর্তনাদ শুনে তিনিই প্রথম সেখানে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। আগুন দেখে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। জল দিয়ে আগুন নেভানো হয়। আগুনে দগ্ধ হন ঘরের ভিতরে আটকে পরা তিনজনই। বেশ কিছু সময় পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। প্রথমে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় এরপর তাঁদের ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, রবিবার দুপুরে হাসপাতালেই মারা গিয়েছেন আনসুরা বিবি। স্বামী-ছেলের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এই কথা জানিয়েছেন মৃতার মা রশিদা বিবি ও বউদি টুনু বিবি।

    ঘটনার খবর পেয়ে কুলপি থানার পুলিশ এলাকায় গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে ওই আগুন লেগে থাকতে পারে। কারণ, ঘরের চালের দিকে যে চাঁদোয়া ছিল, সেখান থেকেই বিদ্যুতের তার গিয়েছে। সেই জায়গা কালচে রঙের হয়ে গিয়েছে। ঘরের নাইলনের মশারিও পুড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই তিনজনের গায়ে সিল্কের পোশাক ছিল। সেকারণে সেসব পোশাকের অংশ পুড়ে শরীরের সঙ্গে আটকে যায়। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
  • Link to this news (প্রতিদিন)