• বারাসতের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা দেহ, খোঁজ নেই স্বামীর
    এই সময় | ০৯ জুন ২০২৫
  • এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বারাসতে। রবিবার রাতে, বারাসাত অশ্বিনীপল্লী মানিকনগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার দেহ কম্বল চাপা দেওয়া ছিল। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই ওই মহিলার স্বামী বিজু সাহার। ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে মানিকনগরের রঞ্জিৎ বড়ালের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন বিজু। ওই মহিলাকে নিজের স্ত্রী বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি বিজু পেশায় একজন বাস চালক। তবে, সেখানে বাড়ি ভাড়া নিলেও বিজু সাহা কোনও পরিচয়পত্র দেননি। বাড়ির মালিকের দাবি, পরিচয় চাওয়া হলে পরে তা দিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।

    জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় ফিরতেন বিজু সাহা। ঘরে ফিরেই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হতো তাঁর। এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন অন্য ভাড়াটিয়ারাও। তাঁরা ওই বাড়ির মালিককেও বিষয়টি জানান। সেই কারণেই বিজু সাহাকে ওই বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছিলেন রঞ্জিৎ বড়াল। এর পর থেকে বিজুর দেখা পাননি তাঁরা।

    রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকার ফলে অন্যান্য ভাড়াটেরা খবর দেন বাড়ির মালিককে। রাতেই বাড়ির মালিক এসে দরজা তালা বন্ধ অবস্থায় দেখে শাসক দলের স্থানীয় অফিসে খবর দেন। পরে পুরো ঘটনা জানানো হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙে মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। ওই দেহটি কম্বল মোড়া অবস্থায় ছিল। স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলাকে খুন করে দেহ কম্বল চাপা দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই মহিলার নাম এখনও জানা যায়নি।

    বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। বিজুর খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

    এ দিকে স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকায় অনেক বাংলাদেশিকে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। কোনও রকম পরিচয়পত্র ছাড়া ঘর ভাড়া দেওয়া হয় তাদেরকে। এমনকী যিনি ঘর ভাড়া দিয়েছেন তিনিও এক সময় বাংলাদেশে থাকতেন বলেও স্থানীয়দের দাবি। এর ফলেই এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে বলেও দাবি তাঁদের।

  • Link to this news (এই সময়)