সংবাদদাতা, তুফানগঞ্জ: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব-ফলিমারি এলাকায় সঙ্কোশ নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। খাতায় কলমে উত্তরে বর্ষা এসে গিয়েছে। নদী ভাঙনে দিশেহারা পরিস্থিতি গ্রামবাসীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সঙ্কোশ নদীর ভাঙন চলছে। আগে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি, বসতভিটে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে কয়েকশো কৃষক পরিবার। কয়েকদিনে নদী যেভাবে বসতির দিকে এগিয়ে এসেছে, তাতে গ্রামের বাকি বসতভিটেটুকুও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। এনিয়ে একাধিকবার বিডিও, সেচদপ্তরের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আলি হোসেন তালুকদার বলেন, আমাদের এই এলাকায় কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সঙ্কোশ নদীর প্রায় দেড় কিমি অংশজুড়ে পাড় বাঁধ নতুন করে ভাঙতে শুরু করেছে। অবিলম্বে পাড় বাঁধ নির্মাণ না হলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটুকুও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আধিকারিকরা কয়েকবার দেখে গেলেও কাজের কাজ করেননি। অপর এক বাসিন্দা রাহুল হক বলেন, ভোটের আগে সবাই এসে বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। ভোট মিটে গেলে তাঁরা খোঁজ রাখেন না। সারাবছর ধরে নদীর ভাঙন চলে। বর্ষার মরশুমে তা চরম আকার ধারণ করে। যেভাবে নদী বসতির দিকে এগিয়ে আসছে আগামীদিনে অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে আমাদের।
ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিতা রায় বলেন, এই নিয়ে আমরা বিডিও, সেচদপ্তরে জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। এ ব্যাপারে তুফানগঞ্জ মহকুমা সেচদপ্তরের আধিকারিক সৌরভ সেন বলেন, আমরা রিপোর্ট তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।