• রাস্তার উপর ফসল শুকোনো চলছেই, পুলিস প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন
    বর্তমান | ০৯ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: বারবার দুর্ঘটনার পরও হুঁশ ফিরছে না। কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদে ব্লকের গ্রামীণ সড়ক দখল করে ফসল শুকোনো চলছেই। কালিয়াগঞ্জের কুনোর, সাহেবঘাটা, রাধিকাপুর এলাকায় রাস্তার একপাশে ভুট্টা ছড়িয়ে শুকোচ্ছেন চাষিদের একাংশ। হেমতাবাদে ব্লকের মহিপুর, বিষ্ণুপুর, ভরতপুরের রাস্তাতেও একইভাবে ফসল শুকোনো চলছেই। এর জেরে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। চাষিদের একাংশের এহেন কর্মকাণ্ডে বিরক্ত পথচারী থেকে চালক-সকলেই। ট্রাফিক পুলিসের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চালকরা। এবিষয়ে কালিয়াগঞ্জ থানার ট্রাফিক ওসি বিপুল দত্তের কড়া বার্তা, রাস্তা দখল করে ফসল শুকোতে দেওয়া যাবে না। এমনটা দেখলেই আমরা রাস্তা থেকে ফসল সরিয়ে দিই। এলাকার মানুষ ও কৃষকদের  সচেতন হতে হবে। 

    রাস্তায় ফসল শুকোতে দেওয়ায় কয়েক বছর আগে তপনে বিডিও’র গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। শেষ রক্ষা হয়নি বিডিও’র। অকালে প্রাণ যায় আধিকারিকের। তারপরও মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সচেতন হচ্ছেন না মানুষ। রাস্তার উপরেই ফসল শুকোচ্ছেন চাষিদের একাংশ। রাধিকাপুর এলাকার বাসিন্দা সুভাষ বর্মন বলেন, ঢালাই রাস্তা থেকে পিচের রাস্তা- সব জায়গাতেই চলছে ফসল শুকোনোর কাজ। কৃষকদের মানা করলে ঝগড়া লেগে যাচ্ছে। একই বক্তব্য টোটো চালক সুজয় হালদারেরও। তাঁর কথায়, রাস্তায় চলাচলই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনভাবে ফসল শুকোতে দেওয়া হয় যে, রাস্তা দিয়ে দুটো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। রাস্তায় কেন ফসল শুকোতে দিচ্ছেন? বিষ্ণুপুরের কৃষক সাজ্জাদ আলমের বক্তব্য, সব এলাকাতেই রাস্তাতেই ফসল শুকোনো হয়। কারও অসুবিধা হলে রাস্তা থেকে ফসল তুলে নিই। তাহলে কি দুর্ঘটনার অপেক্ষা করছেন সাজ্জাদের মতো মানুষরা? এই উত্তর দিতে পারেননি সাজ্জাদ। নিচুস্বরে সাজ্জাদের প্রতিক্রিয়া, গত দু’সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে ভুট্টা ভিজে গিয়েছে। বাড়িতে জায়গা নেই। তাই রাস্তার ধারে রোদে একটু শুকোতে দিয়েছি। 

      ভরতপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)