• পুজোর আগেই লাচেন, লাচুংকে ছন্দে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা শুরু
    বর্তমান | ০৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ধসের জেরে আটকে পড়া ট্যুরিস্ট ট্যাক্সি চালকদের রবিবার এয়ারলিফ্ট করা হল। এদিন সকালে একটি কপ্টার ওই গাড়ি চালকদের উদ্ধারে ছাতেনে নামে। সেখান থেকে ২৮ জনকে এয়ারলিফ্ট করে পাকিয়ংয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। ধসের জেরে রাস্তা-সেতু উধাও হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। উদ্ধারের জন্য বারবার সিকিম সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছিলেন। অবশেষে ধস বিধ্বস্ত এলাকা থেকে ট্যুরিস্ট ট্যাক্সি চালকদের উদ্ধারে এদিন সচেষ্ট হয় সিকিম প্রশাসন। ট্যুরিস্ট ট্যাক্সি চালকদের পাশাপাশি এদিন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ও সরকারি কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরাও ধসের জেরে আটকে পড়েছিলেন। দ্রুত উত্তর সিকিমকে ছন্দে ফেরাতে ধস বিধ্বস্ত এলাকায় জোরকদমে রাস্তা ও সেতু মেরামতের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে সিকিম প্রশাসনের তরফে। নতুন করে বিপর্যয় না ঘটলে পুজোর আগেই লাচেন, লাচুংয়ের মতো সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রকে আগের চেহারায় ফেরানো সম্ভব হবে বলে দাবি তাদের। উত্তরবঙ্গের অন্যতম ট্যুর অপারেটর রাজ বসু বলেন, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি এনডিআরএফ, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ও সিকিম সরকার যৌথভাবে ধস বিধ্বস্ত এলাকায় পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি পুজোর আগেই উত্তর সিকিম আবারও চেনা ছন্দে ফিরতে পারবে। তাঁর দাবি, সিকিমে যাঁরা বেড়াতে আসেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই পছন্দের ডেস্টিনেশন থাকে লাচেন, লাচুং, গুরুদোংমার লেক কিংবা ইয়ুমথাং। এতবড় বিপর্যয়ের রেশ না কাটতেই পর্যটকরা ওইসব এলাকায় যাওয়ার জন্য খোঁজখবর করছেন। উত্তর সিকিমে বেড়ানোর প্ল্যান জানতে চেয়ে আমরা ফোন পাচ্ছি। এদিকে, উত্তর সিকিমে বিপর্যয় সত্ত্বেও পর্যটকের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঘাটতি হবে না বলে দাবি সেরাজ্যের পর্যটন দপ্তরের।
  • Link to this news (বর্তমান)