• রেশন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পর তরাইয়ের চা বাগানে সুফল বাংলার ভ্রাম্যমাণ স্টল
    বর্তমান | ০৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: রেশন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পর ভ্রাম্যমাণ সুফল বাংলার স্টল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তরাইয়ের চা মহল্লার জন্য এমন পরিষেবা চালু করেছে কৃষি বিপণন দপ্তর। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৮ দিনে নকশালবাড়ি ও খড়িবাড়ির চারটি চা বাগানে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকার সব্জি। তবে সব বাগানে ভ্রাম্যমাণ সব্জির স্টল প্রবেশ করছে না বলে অভিযোগ। এনিয়ে শ্রমিকরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তারা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থা হবেন বলে জানিয়েছেন। সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। আইএনটিটিইউসি’র দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) নির্জল দে বলেন, সুফল বাংলার ভ্রাম্যমাণ সব্জির স্টল চা বাগানে ঢুকছে না বলে শ্রমিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। শিলিগুড়ির দৈনিক নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব অনুপম মিত্র অবশ্য বলেন, ভ্রাম্যমাণ ওই গাড়িগুলি চা বাগান এলাকায় যাচ্ছে। একসঙ্গে সমস্ত চা বাগানে যাওয়া সম্ভব নয়। গাড়িগুলি পর্যায়ক্রমে সব বাগানে যাতে যায় সেই চেষ্টা করা হবে। শিলিগুড়ি মহকুমায় চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪২টি। তাতে বসবাস করছে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। চা শ্রমিকদের বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করা হচ্ছে। অধিকাংশ বাগানে ক্রেশ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হয়েছে। এবার শহরের মতো চা শ্রমিকদের কাছে সরকার নির্ধারিত দামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সব্জি। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২০ মে ফুলবাড়ির সরকারি সভা থেকে সুফল বাংলার একগুচ্ছ ভ্রাম্যমাণ গাড়ির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই গাড়িগুলির মধ্যে দু’টি পেয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা। সেগুলিতে করে মহকুমার চা বাগান এলাকায় আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন, আদা প্রভৃতি সব্জি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য নকশালবাড়িতে আশাপুর ও জাবরা, খড়িবাড়িতে সোনাচাঁন্দি ও খড়িবাড়ি এই চারটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এরবাইরে চা বাগান সংলগ্ন বিভিন্ন হাট ও বাজারে গাড়িগুলি ঘুরছে। দৈনিক নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব বলেন, দু’টি কৃষি সমবায় সমিতি সেগুলি চালাচ্ছে। তারা কৃষকদের কাছ থেকে সব্জি সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট দু’টি গাড়ি থেকে প্রায় ২০ কুইন্টাল সব্জি বিক্রি করা হয়েছে। যার দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা। কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিক যাই বলুন না কেন সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলি চা বাগানে ঢুকছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগডোগরা ও খড়িবাড়ির জমজমাট এলাকায় মাইকিং করে সেই সব্জি বিক্রি করা হচ্ছে। গাড়িগুলি চা বাগানের ভিতরে ঢুকছে না। যার ফলে চা শ্রমিকরা সরকারি সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে সুফল বাংলার ভ্রাম্যমাণ স্টল অনেকদিন আগেই চালু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এতদিন পর্যন্ত পাহাড়ে তিনটি এবং শিলিগুড়িতে দু’টি গাড়ি চলছিল। ওই দু’টি গাড়ি দিয়ে শিলিগুড়ি শহরের ১২টি জায়গায় ক্যাম্প করা হয়। এবার দু’টি গাড়ি আসায় মহকুমায় গাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারটি। চা বাগান ও গ্রামীণ এলাকার জন্য আরও গাড়ি চালু করার প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।     
  • Link to this news (বর্তমান)