• উচ্ছেদের পর স্টেশন রোড এলাকার বিরাট অংশ ডুবে থাকে অন্ধকারে, সমস্যায় যাত্রীরা
    বর্তমান | ০৯ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: উচ্ছেদের পর আঁধার নেমে এসেছে নবদ্বীপ ধাম স্টেশন রোডে। কেননা স্টেশন রোডের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের আলো বড়ই ক্ষীণ। একটা সময় ওই স্টেশন রোড দোকানের আলোয় আলোকিত হতো। কিন্তু প্রায় ন’মাস আগে রেলের জায়গা থেকে দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে এখন ওই রাস্তার অধিকাংশ জায়গা সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে যায়। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন ট্রেন যাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। চুরি, ছিনতাইয়ের ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রেল যাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে ওই রাস্তায় রেলের পক্ষ থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হোক। 

    যদিও এ প্রসঙ্গে নবদ্বীপ ধাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার বিধানচন্দ্র রায় বলেন, আলোর সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে রেলের পক্ষ থেকে দু’টি হাইমাস্ট লাইট লাগানোর কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের মূল গেটের দক্ষিণে রেল রিক্রিয়েশন মাঠের কাছে, অপরটি উত্তর দিকে পুকুরপাড়ের কাছে। এই দু’টি হাইমাস্ট লাইট লাগানো হলে ওই রাস্তায় অনেকটাই আলোর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আগামী দিন আরও কিছু আলো লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।

    নবদ্বীপ ধাম ষ্টেশন থেকে ব্যাদরা পাড়া রেল গুমটি পর্যন্ত রেলের রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর অভাব। হাতে গোনা রেলের কিছু বিদ্যুৎ খুঁটিতে আট থেকে ন’টি বাতি রয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বিশেষ করে নবদ্বীপ ধাম স্টেশন থেকে স্টেডিয়াম গেট পর্যন্ত কোনও আলো নেই। ফলে সন্ধ্যা নামতেই ওই রাস্তার বেশ কিছু এলাকা জুড়ে নেমে আসে অন্ধকার। সেই সময় রাস্তার গাড়ির আলোতেই যাতায়াত করতে হয়। এমনকী রেলের এই পিচ রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে অন্ধকারের মধ্যে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, প্রায় ন’মাস আগে নবদ্বীপ ধাম স্টেশন থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত রেলের জায়গা দখল করে থাকা দোকানগুলি উচ্ছেদ করে রেল। আর ওই সব দোকানপাট উঠে যাওয়ার ফলে সন্ধ্যা নামতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অন্ধকার নেমে আসে। প্রতিদিন হাওড়া-কাটোয়া ও কাটোয়া-ব্যান্ডেল রুটে সন্ধ্যে ছ’টা থেকে পরের দিন ছ’টা পর্যন্ত আপ ডাউনে ১০ জোড়া লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। এছাড়া প্রতিদিন আপ ও ডাউনে ১০ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনও চলে। এছাড়া রয়েছে সাপ্তাহিক ট্রেন। প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে নামেন। তার অধিকাংশ ট্রেন যাত্রীই এই রাস্তা দিয়ে যে যার গন্তব্যস্থলে যান। কিন্তু পর্যাপ্ত আলো না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

    একসময় রেলের জায়গায় স্টেশনারি দোকান ছিল অনিল বিশ্বাসের। তিনি বলেন, আমাদের দোকানের আলোয় আলোকিত হতো সামনের রাস্তাও। রাত দশটার পর এই এলাকা অন্ধকার হয়ে যেত। স্থানীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা টোটো চালক রাজ চৌধুরী বলেন, কয়েকজন টোটো চালক রাতেও টোটো চালান। দোকান উচ্ছেদের পর থেকে এখন রাস্তাটা একদম অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। 

    অনেক যাত্রী টর্চ নিয়ে যাতায়াত 

    করেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)