• সালার স্টেশনে ওভারব্রিজ থাকতেও ঝুঁকি নিয়েই লাইন পারাপার যাত্রীদের
    বর্তমান | ০৯ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: ওভারব্রিজ রয়েছে। যদিও তা ব্যবহার করছেন না কেউ। রেললাইনে নেমে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। শুধু যুবক বা অল্পবয়সিরাই নয়, পঞ্চাশ ঊর্ধ্বরাও যাতায়াত করছেন রেললাইন দিয়েই। পূর্ব রেলের কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার সালার স্টেশনে এভাবেই ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত।

    সালার একটি ব্যস্ততম স্টেশন। প্রতিদিন হাজার হাজার রেলযাত্রী এই স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসেন। অধিকাংশ সময়ই যাত্রীরা ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন না। রেললাইন ধরেই প্ল্যাটফর্ম বদলের জন্য ওঠানামা করেন। বছরের পর বছর ধরে এমন চলে এলেও রেলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তাড়া করছে বাসিন্দাদের।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই স্টেশনে ডাউন ট্রেনগুলি বেশিরভাগ ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায়। স্টেশনে ঢোকার পরেই ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু বাকি তিনটি প্ল্যাটফর্মে যেতে গেলে ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা নেই। অথচ যাত্রীদের অধিকাংশই ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন না। সালারের বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা আনারুল ইসলাম বলেন, বছর বছর ধরে এমনটা চলে আসছে। অধিকাংশ যাত্রী ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে লাইন পারাপার করছে। আমরা তাঁদের বুঝিয়েও কিছু করতে পারছি না। ঘটনার কথা রেল দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।

    সালার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চন্দন কাজি বলেন, ওভারব্রিজটি অবৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। উঁচু সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করতে হয়। র‌্যাম্পও নেই। এই কষ্টের কারণে অধিকাংশ যাত্রী ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন না। কিন্তু, প্রাণের ঝুঁকি থেকেই যায়। লাইন পারাপার করতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন এমন ঘটনা অনেক রয়েছে।

    লাইন পারাপার করছিলেন সালার থানার শিমুলিয়া গ্রামের প্রৌঢ়া শান্ত্বনা মণ্ডল। তিনি বলেন, লাইন পারাপার করা ছাড়া উপায় নেই। ওভারব্রিজ দিয়ে ওঠানামা করলে কোমরে ব্যথা হয়ে যাবে। তাছাড়া দুই বোনপো রয়েছে, ওরা আমার হাত ধরে প্ল্যাটফর্মে তুলে দেবে। রেলযাত্রী সন্তোষ দাস বলেন, অত কষ্ট করতে যাব কেন? এখানে কেউ জরিমানা করার নেই। সালার স্টেশন ইনচার্জ প্রদীপ গোফ বলেন, একেবারে সত্যি যে অধিকাংশ যাত্রী ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন না। তবে, আমরা সবসময় মাইকিং করে যাত্রীদের সতর্ক করি। সতর্কতা প্রচার আরও বাড়ানো হবে। তবে, আরপিএফ সমস্যাও একটি কারণ। এই স্টেশনে মাত্র একজন আরপিএফ স্টাফ রয়েছেন। তাঁকে দিনরাত একাই কাজ করতে হয়। তাঁর পক্ষে একা নজররাখা সম্ভব হচ্ছে না। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)