• খুঁটি ছাড়া তারে বিদ্যুৎ সংযোগ, বিপজ্জনক বসবাস বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ০৯ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম যেন আজও বিদ্যুতের প্রাথমিক পরিকাঠামো থেকে বঞ্চিত। বসতবাড়ির ছাদের খোলা পিলারের লোহার রডে জড়িয়ে, কোথাও আবার চালের বাতার ফাঁক দিয়ে টানা রয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাটা ছেঁড়া, জোড়াতালি দেওয়া বিদ্যুতের তার। ফলে বর্ষাকালে বৃষ্টি নামলেই আতঙ্কে দিন কাটে গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবারের। অথচ জয়কৃষ্ণপুরে এই ধরনের পরিস্থিতি রয়েছে বলে জানেই না বিদ্যুৎ দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের ঘাটাল ডিভিশনাল ম্যানেজার বিশ্বদেব বিশ্বাস জানিয়েছেন,  এই ধরনের ঘটনা আমার জানা ছিল না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    ওই গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুপদ সানা, দিলীপ পাঁজা, অরুণ পাঁজা জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে এইভাবেই চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের তার ছাদ, পিলার আর চালের ওপর দিয়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও তারের উপর ভাঙা জায়গা, কাটা ছেঁড়া অংশ থেকে ঝুলছে খোলা তার। এই পরিস্থিতিতে যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

    তাঁদের অভিযোগ, এতদিন ধরে বিভাগে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি কোনও স্থায়ী সমাধান। বিদ্যুতের ভোল্টেজ সমস্যা লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যে লো-ভোল্টেজের কারণে পানীয় জলের মোটর চলতে না পারায় সমস্যা হয় গোটা গ্রামে।  ভুক্তভোগী গৃহবধূ অর্চনা পাঁজার সংযোজন,  সংসারের কাজ করতে গিয়েও ছাদের দিকে নজর রাখতে হয়। ছাদে জামাকাপড় মেলা দায় হয়ে গেছে। কেউ যদি অসাবধানে বিদ্যুতের তার ছুঁয়ে দেয়, সঙ্গে সঙ্গেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। গ্রামবাসীরা বলেন, মাঝে মধ্যে ঠিকাদারের লোক এসে দেখে যায়। তাঁরা জানিয়ে যান, খুঁটি আনার সমস্যা আছে। তার বদলানোর কাজও হয়নি। এইভাবে আর কতদিন চলবে জানি না। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ,  বিদ্যুৎ দপ্তরের বাজেট না থাকলে অন্তত পুরনো, কাটা-ছেঁড়া তারগুলো বদলানো উচিত। না হলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদের আর্জি,  দপ্তর যেন অবিলম্বে এই খুঁটি ছাড়া তারের বিদ্যুৎ সংযোগের বিপজ্জনক পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান করে। না হলে বড়সড় প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)