আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আওতায় একাধিক কমিটি কাজ করছে। এ বার সেই সব কমিটির তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নবান্নে সব তথ্য সহ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। নবান্ন থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন কমিটিতে কতজন সদস্য আছেন, কী কাজ হচ্ছে, কয়টি বৈঠক হয়েছে, কমিটির তরফে কোনও রিপোর্ট জমা পড়েছে কি না?
জানা গিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা রাজ্যের প্রতিটি দপ্তরের সচিবকে পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়, প্রতিটি দপ্তরের আওতায় কতগুলি কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেগুলিতে বর্তমানে কারা কাজ করছেন, সরকারি আমলা ছাড়াও বাইরের কোনও ব্যক্তি কমিটিতে যুক্ত রয়েছেন কি না? পাশাপাশি কমিটির তরফে কতবার বৈঠক করা হয়েছে এবং কোনও রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে কি না তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
কখনও সুপ্রিম কোর্ট আবার কখনও হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারের অধীনে বিভিন্ন দপ্তর কমিটি গঠন করে। সেই কমিটিগুলির মধ্যে কয়েকটি হল, স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি, নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিটি, শিক্ষা দপ্তরের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি, পরিবহণ দফতরের রোড সেফটি কমিটি ইত্যাদি। এই সব কমিটির কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে তৎপরতা শুরু করেছে নবান্ন।
কী কারণে কমিটিগুলির তথ্য চাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট করেনি রাজ্য সরকার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬–এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আদালত যাতে কোনওভাবে রাজ্য সরকারের উপর আঙুল তুলতে না পারে সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে নবান্ন। আদালতের নির্দেশ পালন করে কমিটিগুলি কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তীকালে আদালত কোনও প্রশ্ন করলে রাজ্য যাতে তার তথ্যভিত্তিক জবাব দিতে পারে তাই এই কাজ করা হচ্ছে। নবান্নের এক কর্তা জানিয়েছেন, সব কমিটির তথ্য একসঙ্গে করে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাণ্ডার করে তোলার লক্ষ্যেই নবান্নের তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।