অর্ণব আইচ: টিউশন ক্লাসে যাওয়ার পথে রাস্তার উপরই এক নাবালিকার যৌন হেনস্তার অভিযোগ। জোর করে ১১ বছর বয়সের ওই নাবালিকা ছাত্রীর হাত ধরে তার সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। রাস্তার উপরই সেই দৃশ্য দেখে প্রতিবাদ করে ওঠেন পথচারী এক মহিলা। তিনি ওই ব্যক্তিকে চড় মেরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। মার খেয়ে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনে ঘটেছে এই ঘটনাটি। এই ব্যাপারে ওই নাবালিকার পরিবারের লোকেরা পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা, শ্লীলতাহানি ও পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাঘাযতীনের স্টেশনের অদূরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে যাচ্ছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, ওই অঞ্চলের একটি ক্লাবের পাশে রিকসা স্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছনোর পরই ওই ব্যক্তি ছাত্রীর কাছে এসে তার সঙ্গে যেতে বলে। নাবালিকা ব্যক্তিটিকে এড়িয়ে যেতে চায়। তখন সে নাবালিকাকে তাড়া করে। তার হাত ধরে ফেলে। নাবালিকা রাস্তার উপরই চিৎকার করে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু ওই ব্যক্তি মেয়েটির হাত ছাড়েনি। জোর করে তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি।
চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে এগিয়ে আসেন পথচারী এক মহিলা। মহিলা বুঝতে পারেন যে, ওই নাবালিকা ব্যক্তিটিকে চেনে না। সে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি ওই ব্যক্তিকে তার এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ব্যক্তিটি মহিলাকে এড়িয়ে নাবালিকাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই মহিলা ওই ব্যক্তিকে রাস্তার উপরই চড় মেরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন। এতে অন্য পথচারীরা সতর্ক হয়ে যান। তাঁরা ওই ব্যক্তির দিকে আসতে থাকেন। বেগতিক বুঝে মেয়েটির হাত ছেড়ে দিয়ে সে পালিয়ে যায়।
আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রী টিউশন পড়তে যায়। রাতে বাড়ি ফেরার পর সে অভিভাবকদের পুরো ঘটনাটি জানায়। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পাটুলি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরেই নাবালিকার উপর নজর রাখছিল। তার পরই সে এই ঘটনাটি ঘটায়। সে বাঘাযতীন বা যাদবপুর এলাকার বাসিন্দা কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।