• বন্যরোধে ব্যবস্থা, তেখালা পয়েন্টে কংক্রিটের সেতু
    এই সময় | ০৯ জুন ২০২৫
  • রাকিব ইকবাল, আমতা

    বন্যার সময়ে জলের তোড়ে হাওড়া গ্রামীণের বন্যাকবলিত আমতা দুই নম্বর ব্লকের একাধিক জায়গায় কাঠের সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।‌ যোগাযোগ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বন্যার জল নামার পরে তড়িঘড়ি সেই সব সেতু মেরামত করে সেচ দপ্তর।

    বিশেষত, মজা দামোদর নদের উপরে থাকা একাধিক কাঠের সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।‌ এ বার সেই সব কাঠের সেতুগুলিকে মজবুত করার কাজ করছে সেচ দপ্তর।‌

    যেমন, আমতা দুই নম্বরের উপর দিয়ে প্রবাহিত মজা দামোদরের উপরে শিবগাছিয়া, ঝামটিয়া-সহ মোট পাঁচটি জায়গায় লোহার সেতু (লো কস্ট ব্রিজ) নির্মাণ হচ্ছে।‌ পাকা সেতুর পরিবর্তে লোহার সেতু নির্মাণে ব্যয় অনেকটাই কমছে।‌ অথচ বেশ শক্তপোক্ত ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে ব্রিজ।

    ফি বছর ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি হয় হাওড়া গ্রামীণের উদয়নারায়ণপুর ও আমতা দুই নম্বর ব্লক। বন্যার কারণে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এই দু’টি ব্লকের চাষবাস। জলের তোড়ে ভেঙে যায় অসংখ্য রাস্তাঘাট ও কাঠের সেতু।‌

    কৃষিপ্রধান দু’টি ব্লকে ওই সময়ে কার্যত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। একটু একটু করে বন্যার জল নামলে, সারিয়ে তোলা হয় বন্যার ক্ষত।‌ দামোদর পাড় বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে গিয়ে, জল উপচে উদয়নারায়ণপুর ব্লক হয়ে বন্যার জল প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী আমতা দুই নম্বর ব্লকে।‌

    দামোদরের জল আমতা দুই নম্বর ব্লকের গাইঘাটা খাল, মজা দামোদর, শর্টকাট চ্যানেলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রবল বেগে। সেই জল রূপনারায়ণে গিয়ে মেশে।

    সেই স্রোতের মুখে দু’টি বন্যাকবলিত ব্লকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য কাঠের সেতু। বিশেষ করে মজা দামোদরের উপরে অসংখ্য কাঠের সেতু রয়েছে।‌ আমতা দুই নম্বর ব্লকের তেখালা পয়েন্টের উপরে কাঠের সেতুটি বন্যার সময়ে বাড়তি গুরুত্ব বহন করে।

    প্রসঙ্গত, মেজর ইরিগেশন ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে দু’টি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা প্রতিরোধে কাজ চলছে। সেচ দপ্তর কাঠের সেতুর পরিবর্তে এই তেখালা পয়েন্টে পাকা কংক্রিটের সেতু তৈরির কাজ শেষ করেছে।

    জানা গিয়েছে, তিন কোটি টাকা ব্যয়ে আমতা দুই নম্বর ব্লকের তেখালা পয়েন্টে নির্মিত হয়েছে এই কংক্রিটের সেতু। গাইঘাটা খাল, মজা দামোদর ও শর্টকাট চ্যানেলের উপরে এই পাকা সেতু নির্মাণের ফলে, খালনা থেকে বাকসি যাওয়ার রাস্তা ১০ কিলোমিটার কমে গেল।

    এখন আর মানুষজনকে ঘুরপথে যেতে হবে না।‌ শুধু তা–ই নয়, বন্যার সময়ে সেচ দপ্তর বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধে পাবে এই সেতুর ফলে।‌

    এলাকার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, ‘গাইঘাটা খালের উপরে এই তেখালা পয়েন্টে পাকা সেতু নির্মাণের ফলে, বন্যার সময়ে মালপত্র পরিবহণে সুবিধে হবে। খালনা-বাকসির দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। সুবিধে হবে বন্যা প্রতিরোধের কাজেও।’

  • Link to this news (এই সময়)