আগামী বছরের নির্বাচনেই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করার দাবি করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দাবি করছেন, আগামী বছরেই তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। সেই সময়েই প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যে দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেলায় মিছিল করলেন, সেই দিনই সাংগঠনিক বৈঠকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির কর্মীরাই। আর এই মারামারি হলো দলের জেলা সভাপতি রাজিব পোদ্দারের উপস্থিতিতেই। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন বিজেপি কর্মী। মারামারির জেরে ভাঙচুর হয়েছে একাধিক চেয়ারও। উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরের ঘটনা।
রবিবার রাতে বিজেপির একটি সাংগঠনিক বৈঠক হয় অশোকনগরের মানিকতলা এলাকায়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রাজিব পোদ্দার। দলীয় সূত্রে খবর, সেই বৈঠক চলাকালীনই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দলের নেতা-কর্মীরাই। এই মারামারির কথা দলের কর্মীরা স্বীকারও করেছেন। তবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। যদিও এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী।
রবিবারই বনগাঁ এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পরেই এই এই সাংগঠনিক বৈঠক হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , সেই বৈঠকে অশোকনগরের যুব মোর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রদীপ সরকার-সহ কয়েকজন জেলা সভাপতির কাছে কিছু প্রশ্ন করেন। অশোকনগরে যে চারটি মন্ডল রয়েছে তার মধ্যে একজন মন্ডল সভাপতি মহিলা হওয়ার কথা ছিল। তা কেন হয়নি জানতে চাওয়া হয় জেলা সভাপতির কাছে । কয়েকজন বিজেপি নেতাকর্মী তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলেও দাবি করেন তাঁরা । অভিযোগ, এই নিয়ে প্রশ্ন করার পরেই অশোকনগরের কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক প্রদীপ সরকার এবং তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজনের উপর চড়াও হয়। দলেরই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট ও হাতাহাতিতে জখম হয় অন্তত ৭ জন বিজেপি কর্মী। তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর বলে দাবি করেন বিজেপি কর্মীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে অশোকনগর থানার পুলিশ। রবিবার রাতে এই ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
কটাক্ষ করে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘যা পরিস্থিতি তাতে বিজেপির উচিত পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই দলের সাংগঠনিক বৈঠক করা।’