• বঙ্গে একদিনে অ্যাক্টিভের সংখ্যাবৃদ্ধি ৭১, সুস্থ ৫৩
    এই সময় | ০৯ জুন ২০২৫
  • এই সময়: করোনার থামার কোনও লক্ষণই নেই সারা দেশে। বাংলা-সহ সর্বত্রই বেড়ে চলেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে তথ্য তাদের ওয়েবসাইটের কোভিড ড্যাশবোর্ডে দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে ৩৭৮ জন বেড়েছে অ্যাক্টিভ রোগী।

    ফলে সারা দেশে এ দিন মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৩৩ জন। বঙ্গেও বৃদ্ধি অব্যাহত। একদিনে ৭১ জন বেড়ে মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯৩। সারা দেশে শনিবার মোট ৬ জন কোভিড পজ়িটিভের মৃত্যু হয়েছে। তবে বাংলায় কেউ করোনায় ভুগে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাননি।

    লোকে কোভিডে আক্রান্ত যেমন হচ্ছেন, তেমনই পাল্লা দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন কিংবা হাসপাতাল থেকেও ছুটি পাচ্ছেন নিয়মিত। সারা দেশে ৭৫৩ জন করোনা-মুক্ত হয়েছেন অথবা ডিসচার্জ পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। বঙ্গে এই সংখ্যাটা একদিনে ৫৩ জন।

    তবে এরই পাশাপাশি শনিবার ৬টি করোনা মৃত্যুর সাক্ষীও থেকেছে দেশ। মৃতদের তিন জন কেরালার, দু’ জন কর্নাটকের ও একজন তামিলনাড়ুর। এই নিয়ে চলতি বছরে সারা দেশে মোট ৬৫ জন কোভিড পজ়িটিভ মারা গিয়েছেন।

    সবচেয়ে বেশি করোনা মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে (১৮), কেরালায় (১৬) ও কর্নাটকে (৯)। বাংলায় এ বছর একটিই করোনা মৃত্যু হয়েছে।

    কোভিড পজ়িটিভ হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই মোটের উপর কোমর্বিডিটির শিকার ছিলেন। শনিবার কেরালায় যে তিন জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন ৫১ বছরের হৃদরোগী ও কিডনি রোগী, একজন ৬৫ বছরের ডায়াবিটিস, কিডনি ও ক্যান্সার রোগী এবং একজন ৯২ বছরের বৃদ্ধ যাঁর হার্ট ও কিডনির অসুখের পাশাপাশি রক্তের ক্যান্সারও ছিল।

    কর্নাটকে মৃতদের একজন ৪৬ বছরের হার্ট ও ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত পুরুষ এবং অন্যজন ৭৮ বছরের বৃদ্ধ যাঁর হার্টের সমস্যার পাশপাশি গুরুতর রক্তরোগও ছিল। তামিলনাড়ুতে মৃত ব্যক্তি ৪২ বছরের পুরুষ যাঁর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিসের পাশাপাশি কিডনি ও মৃগীর সমস্যা ছিল।

    চিকিৎসকরা বলছেন, এখন নভেল করোনাভাইরাসের যে প্রজাতি বা উপপ্রজাতি সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী, সেই ওমিক্রনের জেএন.১ উপপ্রজাতি এবং তার পরবর্তী প্রজন্ম এলএফ.৭, এনবি.১.৮.১ এবং এক্সএফজি।

    এই উপপ্রজাতির ভাইরাসগুলির স্পাইক প্রোটিনে জিন মিউটিশনের ফলে এমন পরিবর্তন হয়েছে, যার জেরে মানুষের শরীরে কোভিডের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ইমিউনিটিকে সহজেই ফাঁকি দিচ্ছে ভাইরাস।

    সে জন্যই এখন অতি সংক্রামক এই ভাইরাস। কিন্তু তার মারণক্ষমতা চলে গিয়েছে। বয়স ও কোমর্বিডিটির সমস্যা না থাকলে মৃদু উপসর্গ কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যাচ্ছে।

    সাম্প্রতিক কালে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যে ক’জন করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন বাদে সকলেই কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)