রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় ‘নাক’ (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল)-এর বিচারে মান বাড়াতে পারল না। কলেজ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার প্রকাশ হওয়া ফলে নাক-এর বিচারে ওই কলেজ ‘বি প্লাস’-এর মর্যাদা পেয়েছে। হতাশ কলেজ কর্তৃপক্ষ। কারণ ২০১৬ সালে ‘বি প্লাস’ মর্যাদাই মিলেছিল। আট বছরে কেন কর্তৃপক্ষ কলেজের মান বাড়াতে পারলেন না, কলেজের অন্দরে সেই প্রশ্ন উঠেছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গত আট বছর কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ ছিলেন না। ২০১৬ সালের নাক-এর ফল প্রকাশের পর কলেজে স্নাতক স্তরে অনার্সের নতুন বিষয় চালু হয়নি। চালু হয়নি বাণিজ্য বিভাগের পঠনপাঠন। এ বারের নাক-এর অনলাইন পরিদর্শনের দিন ইন্টারনেট বিকল হয়ে যায়। এমনই নানা কারণে এ বারে নাক-এর বিচারে এ বার মান বাড়াতে পারেনি কলেজ।
এ দিকে, নাক-এর বিচারে কলেজের মান না বাড়ার কারণ হিসেবে কলেজের অন্দরে একাধিক কারণ উঠে এসেছে। মান বেড়ে ‘বি ডবল প্লাস’ কিংবা ‘এ’ না হওয়ার কারণে এই কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নে বাড়তি সরকারি বরাদ্দ মেলার ক্ষেত্রে আগের মতোই সমস্যা থেকে গেল বলে সরকারি সূত্রের খবর। কলেজের প্রশাসক তথা মহকুমাশাসক (রায়গঞ্জ) কিংশুক মাইতি বলেন, ‘‘গত আট বছরে কলেজের পরিকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। কলেজে একাধিক ক্লাসরুম ও ভবন তৈরি-সহ স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য নানা সার্টিফিকেট এবং অ্যাড-অন কোর্স চালু হয়েছে। তার পরেও নাক-এর বিচারে কেনও কলেজের মান বাড়ল না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ গত ২৭ ও ২৮ মে অনলাইনে ‘ইউজিসি’র অধীন নাক-এর প্রতিনিধিরা কলেজ পরিদর্শনের পাশাপাশি পঠনপাঠন ও সার্বিক পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। তাঁরা অনলাইন পদ্ধতিতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেন। ওই কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার পড়ুয়া রয়েছেন। সেখানে অনার্সের ১২টি বিষয়-সহ ১৭টি বিষয়ে পড়ানো হয়। কলেজের অধ্যক্ষ চন্দন রায়ের দাবি, এ বারে নাক-এর ফল অনুযায়ী কলেজ ৪ পয়েন্টের মধ্যে ২.৭ পেয়েছে। ২.৭৬ পয়েন্ট মিললে কলেজ ‘বি ডবল প্লাস’-এর মর্যাদা পেত। তিনি বলেন, ‘‘অল্পের জন্য কলেজ নাক-এর বিচারে মান বাড়াতে পারল না। মান বাড়লে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নে অতিরিক্ত সরকারি বরাদ্দ পেতে সুবিধা হত।’’
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গত আট বছর কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ ছিলেন না। ২০১৬ সালের নাক-এর ফল প্রকাশের পর কলেজে স্নাতক স্তরে অনার্সের নতুন বিষয় চালু হয়নি। চালু হয়নি বাণিজ্য বিভাগের পঠনপাঠন। এ বারের নাক-এর অনলাইন পরিদর্শনের দিন ইন্টারনেট বিকল হয়ে যায়। এমনই নানা কারণে এ বারে নাক-এর বিচারে এ বার মান বাড়াতে পারেনি কলেজ।