• দিনমজুর যুবক হয়ে গেল ডাক্তার!
    আজকাল | ০৯ জুন ২০২৫
  •  

    আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় যোগ্যতা কাম প্রবেশিকা পরীক্ষা (NEET) ভারতের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী  অংশগ্রহণ করে। এই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনের জন্য বিস্তৃত অধ্যয়নের প্রয়োজন নেই৷ বরং কৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। 

    একুশ বছর বয়সী শেখ সরফরাজের কাহিনি অনুপ্রেরণা যোগাবে। সে জীবনে প্রচুর চ্যালেঞ্জ এবং কষ্টের মুখোমুখি হয়েছে। তবু কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে৷ পশ্চিমবঙ্গের এক ছোট্ট গ্রামে জন্ম সরফরাজের। এক সময় দিনমজুর হিসেবে কাজ করত। কিন্তু অবশেষে NEET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই প্রতিকূলতা কাটিয়েছে। সে এখন ডাক্তার।

    সরফরাজ একসময় দৈনিক ৩০০ টাকা আয় করত। ৭২০ এর মধ্যে ৬৭৭ নম্বর পেয়ে ২০২৪ সালের NEET পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হয়েছে। গরিব ঘরের এই যুবককে তার পরিবার সামলাতে হত। সেই কারণে নিয়মিত মজদুরের কাজ করত। ভোর ছ'টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত মজদুরগিরি।  তার পাশাপাশি নিষ্ঠা সহকারে পড়াশোনা। দশম শ্রেনীতে পড়াকালীন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখত। আকস্মিক এক দুর্ঘটনায় ভেঙে যায় তার সেই স্বপ্ন। তারপর থেকে সে শুরু করে ডাক্তারি পড়ার প্রস্তুতি। 

    অলখ পান্ডের নির্দেশনামূলক চলচ্চিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত সরফরাজ। শেষমেশ NEET উত্তীর্ণ হয়ে সে ভর্তি হয় নীল রতন মেডিক্যাল কলেজে৷ 

    ফিজিক্সওয়াল্লাহর প্রতিষ্ঠাতা আলখ পান্ডে। তাঁর অনুপ্রেরণামূলক গল্পটি বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। সেই গল্পই আলোচনায় উঠে আসে। সরফরাজ এমন একটি সমাজে নিজের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জিং পথ বেছে নিয়েছে যেখানে মানুষ  ছোটখাটো বাধার ভয় পায়। সমস্যা থেকে পালিয়ে যায়। ভাঙা স্ক্রিন সহ ফোনে পড়াশোনা করে এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় নির্মিত বাড়িতে বসবাস করেছে সে। তাঁর কাহিনি দেখিয়েছে, স্বপ্ন দেখার সাহস থাকলে যে কোনও কিছু সম্ভব। যদি কেউ নিজের উপর বিশ্বাস রাখে এবং প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে, তবে সে যে কোনও কিছু করতে পারে।
  • Link to this news (আজকাল)