পুরসভার ট্যাপকল খুললেই বেরোচ্ছে হলুদ রংয়ের জল। কোথাও জল আবার কাদার মতো ঘোলাটে। গ্রীষ্মে পানীয় জলের সঙ্কটের মধ্যে পুরসভার নোংরা পানীয় জল পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ। অন্যের বাড়ির সাবমার্সিবল পাম্প থেকে বা কিনে পানীয় জলের চাহিদা মেটাচ্ছেন দলঅলুয়ার বাসিন্দারা। অভিযোগ জানিয়েও পানীয় জলের সুরাহা হয়নি বলে দাবি।
এগরা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডে প্রহরাজ ও পঞ্চাধ্যায়ী পাড়ায় নলবাহিত পানীয় জলের পাঁচটি ট্যাপকল রয়েছে। পুরসভার এই ট্যাপকলগুলো থেকে শতাধিক পরিবারের লোকজন তাঁদের প্রতিদিনের পানীয় জল নেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ট্যাপকলগুলোয় হলুদ ও ঘোলাটে রঙের জল পড়তে শুরু করেছে। পানের অযোগ্য সেই জল কোনও কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী।
চারদিন ধরে এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট চলছে দলঅলুয়ায়। পড়শির সাবমার্সিবল পাম্প থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে শতাধিক পরিবারের দিন চলছে। কেউ জারিকেনে করে বাজার থেকে প্রতিস্রুত পানীয় জল কিনছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থেকে পানীয় জলের সমস্যা চললেও দেখা নেই পুরসভার। পুরসভার তরফে জলের গাড়ি পাঠিয়ে এলাকায় সাময়িক পানীয় জলের চাহিদা মেটানোর কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
বছর দেড়েক আগে একই ভাবে এই দুই পাড়ায় পুরসভার ট্যাপকলগুলো থেকে নোংরা জল পড়ছিল। প্রতিস্রুত পানীয় জলের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তড়িঘড়ি পাইপলাইন মেরামতি করে পানীয় জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছিল। ফের সেই এলাকাতেই জল পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। একই জায়গায় বারবার ট্যাপকল থেকে নোংরা জল বেরনোয় পাইপ লাইনগুলোর মেরামতি নিয়ে উঠছে প্রশ্নচিহ্ন। পুরসভার দাবি, পুরনো পাইপ লাইনের সমস্যার কারণে এই কাণ্ড ঘটছে। পুরসভা জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগকে পাইপ লাইন মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কবে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে সেই দিকে তাকিয়ে দলঅলুয়ার বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগী বাসিন্দা বিজয় প্রহরাজ বলেন, ‘‘পুরসভার ট্যাপকল থেকে চারদিন নোংরা বিষাক্ত জল বেরোচ্ছে। সাধারণ মানুষকে অন্যের বাড়ির সাবমার্সিবল পাম্পের জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এলাকায় পুরসভার জলের গাড়ি পর্যন্ত পাঠানো হয়নি। ট্যাপকলগুলো মেরামতির কোনও উদ্যোগ দেখছি না।’’ এগরার পুরপ্রধান স্বপন নায়ক বলেন, ‘‘ট্যাপকল থেকে নোংরা জল বেরোনোর অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগকে দ্রুত পাইপলাইন মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’