• হাতি-পথের বাতিস্তম্ভ সরিয়ে দিল বন দফতর
    আনন্দবাজার | ০৯ জুন ২০২৫
  • কথায় কাজ হয়নি। এ বারে হাতে তা করে দেখাল বন দফতর। রবিবার বিকেলে বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেত ডিভিশনের হেঁড়েপর্বত বিটের লোটিহিড় গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলের রাস্তায় একটি বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষের বসানো পথবাতির স্তম্ভগুলি তুলে ফেলা হল। অভিযানে ছিলেন বিষ্ণুপুর, জয়পুর, বাঁকাদহ-সহ বিভিন্ন রেঞ্জের আধিকারিক ও বনকর্মী মিলিয়ে অন্তত ৫০-৬০ জন। মোট ১৭টি বাতিস্তম্ভ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দফতর।

    রাজ্যের মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) এস কুলান ডাইভাল বলেন, “হাতির করিডরে বা বন দফতরের জায়গায় অনুমতি ছাড়া কোনও আলোর ব্যবস্থা করা যায় না। এ ক্ষেত্রে একটি বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষ তা করেছিলেন। বাতিস্তম্ভের খুঁটিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” তাঁর সংযোজন, হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ হচ্ছে। দফতরের জায়গায় অবৈধ কাজকর্ম রুখতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেঞ্জ আধিকারিকদের।

    দফতরের দাবি ছিল, তাদের অনুমতি ছাড়াই হাতিদের যাতায়াতের ওই পথে বাতিস্তম্ভগুলি বসান ওই হোটেল কর্তৃপক্ষ। পথবাতির আলোয় হাতির দল দিকভ্রষ্ট হয়ে লাগোয়া গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছিল। অভিযোগ পেয়ে শনিবার এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে বাতিগুলির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন বিষ্ণুপুর রেঞ্জ আধিকারিক। তা সত্ত্বেও ওই দিন সন্ধ্যায় পথবাতি জ্বলেছে। বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার রাজ্যের মুখ্য বনপাল বাতিস্তম্ভগুলি তুলে ফেলার নির্দেশ দেন।

    বিষ্ণুপুরের রেঞ্জ আধিকারিক আশিস ঘোষ জানান, বাতিগুলির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা শনিবারই জানানো হয়েছিল। তা না হওয়ায় ফের হোটেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। এ দিন সকালে বনকর্মীরা গিয়ে স্তম্ভগুলি চিহ্নিত করেন। পরে ১১টা নাগাদ হোটেল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেন। বাতিগুলিও খোলা হয়। তবে কাঠের স্তম্ভ, তার কিছুই সরানো হয়নি। বন আধিকারিকের নির্দেশে বনকর্মীরা গিয়ে সেগুলি খুলে বাজেয়াপ্ত করেছেন।

    তবে বন দফতরের বিনা অনুমতিতে কী ভাবে ওই পথবাতিগুলি বসানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ওই হোটেলের ম্যানেজার যদিও এ দিনদাবি করেন, “প্রশাসনের নির্দেশে পর্যটকদের সুবিধার্থে বাতিস্তম্ভগুলি বসানো হয়েছিল।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)