কৃষকের ঘরের ধান শেষের পথে। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রায় শেষ পর্যন্ত পৌঁছনো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ বছর প্রথমে ৬ লক্ষ ২২ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল খাদ্য দফতর। পরে তা বাড়িয়ে ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার করা হয়। কয়েক মাস আগে তাতে দেখা যায়, জেলা খাদ্য দফতর ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৯০ মেট্রিকটন ধান কিনতে পেরেছিল।
তার পরেই বোরো মরসুমের ধান কেনার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদকে বোরো মরসুমের জন্য প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। তাতে দেখা গিয়ে বোরো মরসুমের এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার মেট্রিকটন ধান কিনতে পেরেছে। সব মিলিয়ে ৬ লক্ষ ৮ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে।
তবে এই মূহূর্তে জেলায় ১৫টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা থাকলেও কৃষকেরা সে ভাবে আসছেন না। যার জেরে ধান কেনার গতি কমে গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের জেলা খাদ্য নিয়ামক সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, ‘‘খরিফ মরসুমে আমরা ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৯০ মেট্রিকটন ধান কিনেছি। বোরো মরসুমে ১৬ হাজার মেট্রিকটন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। এখনও কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। তবে ধান নিয়ে কৃষক আসার পরিমাণ খুব কম।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমরা মোটা ধান কিনি। কিন্তু বোরো মরসুমে মূলত সরু ধান চাষ হয়। ফলে বোরো মরসুমে ধান পাওয়া মুসকিল হয়। তবুও কান্দি মহকুমা, নবগ্রাম এবং সাগরদিঘিতে বোরো মরসুমে কিছু ধান পাওয়া যাচ্ছে। সেদিকেই ১৫ টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র চালু রয়েছে।’’ জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবারে ধানের সহায়ক মূল্য ১১৭ টাকা বেড়ে কুইন্টাল পিছু ২৩০০ টাকা হয়েছে।