রথের আগেই দিঘায় পাওয়া যাচ্ছে না হোটেলের রুম, পেলেও ভাড়া ৪ গুন
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ জুন ২০২৫
বর্তমানে সপ্তাহের প্রায় সব দিনই দিঘায় ভিড় উপচে পড়ছে। ফলে পাওয়া যাচ্ছে না কোনও হোটেলের ঘর। এই সুযোগে হোটেলের রুমের ভাড়া প্রায় দুই–তিনগুন বাড়িয়ে দিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যদিও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে দিঘায় ভিড় বেড়েছি। উন্নতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এরই মধ্যে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী ফাঁদ পেতে ফেলেছেন। প্রায় সব হোটেলই পর্যটকে পরিপূর্ণ। ছোটো একটা ঘর পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরেরও একই অবস্থা। হোটেল না পেয়ে কাঁথিতে গিয়ে হোটেল ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের। মেরিন ড্রাইভ থেকে শুরু করে, ১১৬ বি জাতীয় সড়ক পর্যন্ত সর্বত্রই শুধু দেখা যাচ্ছে গাড়ি। দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
দিঘায় বর্তমানে এক হাজার টাকার হোটেলের রুমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪–৫ হাজার টাকা। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। তাঁদের অভিযোগ, ভিড়ের সুযোগ নিয়েই অত্যধিক টাকা হাকাচ্ছেন হোটেলের মালিকরা। অনেক হোটেলে তো আবার ৫–৬ গুন বেশি টাকাও চাওয়া হচ্ছে। পরিবার নিয়ে দিঘায় যাওয়া পর্যটকরা কোনও উপায় না দেখে সেই টাকা দিয়েই হোটেলের রুম বুক করছেন। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, দিঘায় পর্যটকদের হেনস্থা রুখতে ও সমস্যার সমাধান করতে আগেই প্রশাসনের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছিল। সেখানে ফোন করে সমস্যার কথা জানাতে বলা হয়েছে পর্যটকদের।
রথের সময় দিঘায় বিপুল জনসমাগম হতে পারে। তার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে প্রশাসন। তার আগে জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা রয়েছে। সেই উপলক্ষে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। এই বিষয়ে জেলাশাসক নিজে উদ্যোগ নিয়ে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। দিঘায় এসে পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি হোটেল নিয়ে কালোবাজারি রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে প্রশাসন।