অডিও কাণ্ডে পুলিশের জবাবে সন্তুষ্ট নয় জাতীয় মহিলা কমিশন
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ জুন ২০২৫
অডিও কাণ্ডে তোলপাড় বীরভূম সহ গোটা রাজ্য। এই আবহে বীরভূমের নানুরে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর তৃণমূল নেতা কাজল শেখের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে, বোলপুরের আইসি লিটন হালদারের মা ও স্ত্রীয়ের নামে কদর্য ভাষায় কথা বলার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জাতীয় মহিলা কমিশনকে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, পুলিশের জবাবে সন্তুষ্ট নয় কমিশন।
অডিও কাণ্ড নিয়ে জেলায় বিতর্কের মাঝেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে মারধরের অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম ডব্লু শেখ। জানা গিয়েছে, রবিবার বেলা ১২ টা নাগাদ মাঠে কাজ করছিলেন ডব্লু। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (অনুব্রত–বিরোধী হিসেবে পরিচিত) ঘনিষ্ঠ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। লাঠি দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ডব্লুর দাবি, তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল পার্টি করছেন। বরাবরই তিনি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অনুব্রত–ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে শিরোনামে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই সংক্রান্ত একটি অডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান) ভাইরাল হওয়ার পরই পদক্ষেপ গ্রহণ করে জেলা পুলিশ। পর পর দুই বার পুলিশের তলব এড়িয়ে সম্প্রতি এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত।
লিটন হালদারকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর মা ও স্ত্রীকে নিয়ে কদর্য ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন (এনসিডব্লু)। সম্প্রতি মহিলা কমিশনের চিঠির উত্তর দিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছেন বোলপুরের এসডিপিও। অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে।
বীরভূমের পুলিশের সুপারের তরফে পাওয়া জবাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ সুপারের জবাবে সন্তুষ্ট নয় কমিশন।