শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: গ্রামের ভিতর নির্মীয়মাণ বাড়িতে প্রায়শয়ই লেগে থাকত অচেনা যুবক-যুবতীর আনাগোনা। কে তাঁরা, তা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগত স্থানীয়দের। কানাঘুষো শুরু হলেও, প্রথমে রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি। তবে রবিবার সন্ধ্যায় পর্দাফাঁস। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বজরাপাড়ার ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে হানা দিয়ে মধুচক্রের আসর ভেস্তে দিলেন স্থানীয়রা।
রবিবার রাতে আচমকা ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে হানা দেন এলাকার বাসিন্দারা। এক যুবক পালিয়ে যায়। তবে এক মহিলাকে আটক করা হয়। যুবকের গাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঊর্দিধারীদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এরপর ওই মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছে। ধৃত ওই মহিলার নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাওড়ার ডোমজুড়ে প্রোডাকশন হাউসের আড়ালে পর্নোগ্রাফি করা হত। মধুচক্রের আসর বসানোর অভিযোগও সামনে এসেছে। পানিহাটির তরুণীর উপর অত্যাচারের ঘটনায় প্রকাশ্যে ‘ফুলটুসির কীর্তি’। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই প্রোডাকশন হাউসে রিলসের নামে ‘সফট পর্নোগ্রাফি’ শুট হত। কাজের টোপ দিয়ে তরুণীদের এনে বার ডান্স, পর্নোগ্রাফি বানানোর কাজে ব্যবহার করত মা-ছেলে। শুধু তাই নয়, ‘ফুলটুসি’র বিরুদ্ধে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বাড়িতে রীতিমতো অস্ত্র রাখত মা-ছেলে। শ্বেতা-আরিয়ান আপাতত পলাতক। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। তারই মাঝে জলপাইগুড়ির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।