বেনজির দ্বন্দ্ব কলকাতা জেলা সিপিএমে! সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ রূপা বাগচী, ক্ষুব্ধ সেলিম
প্রতিদিন | ০৯ জুন ২০২৫
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠনকে কেন্দ্র করে কার্যত নজিরবিহীন বিতর্ক, সংঘাত। দীর্ঘদিনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, দলের মহিলা নেত্রী রূপা বাগচীকে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ দিল দল। আর তাই নিয়ে দু’পক্ষের বাদানুবাদে রবিবার তপ্ত হয়ে উঠল জেলা কমিটির বৈঠক। রূপা বাগচীর মতো পরিচিত মুখ ও প্রাক্তন কাউন্সিলরকে বাদ দেওয়ার পিছনে গোষ্ঠী কোন্দলের ছায়াই দেখছে সিপিএমের একাংশ। তাঁকে অবগত না করে রূপাকে বাদ দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
রূপা বাগচী পার্টির রাজ্য কমিটিরও সদস্য। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে না জানিয়েই রূপাকে জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে কলকাতা সিপিএম বাদ দিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক আরও বাড়ল। রবিবার কলকাতা জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেলিমও। তাঁর সামনেই রূপা বাগচীকে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয় দলের অন্দরে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বৈঠক। রূপার বদলে সম্পাদকমণ্ডলীতে নেওয়া হয়েছে বেহালা পূর্বের শমিতা চৌধুরীকে। রূপা বাগচী প্রাক্তন কাউন্সিলর কলকাতা পুরসভার বামেদের বিরোধী দলনেত্রী যেমন ছিলেন, ২০০৬ সালে মানিকতলা থেকে জিতে আবার বিধায়কও হন। রূপাকে বাদ দেওয়া নিয়ে কলকাতা জেলা পার্টির তরফে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তিনি অসুস্থ।
এই পরিস্থিতিতে রূপা শিবিরের প্রশ্ন, সদ্য রাজ্য কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাঁকে। তাহলে রাজ্য কমিটিতে কেন নেওয়া হল? জানা গিয়েছে, কয়েকদিন সামান্য অসুস্থ ছিলেন সিপিএমের এই মহিলা নেত্রী। সেটাকেই কারণ হিসাবে দেখিয়ে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে। পার্টি সূত্রে খবর, কলকাতা জেলা সিপিএমের বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি ও প্রতিবাদ করেছিলেন রূপা বাগচী। কলকাতা পার্টির এক যুব নেতার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নিগ্রহের অভিযোগ নিয়েও সরব হয়েছিলেন রূপা। তার জেরেই এই কাণ্ড বলে অনেকে মনে করছেন।