• কড়িধ্যা-কাঁটা বার বার বিঁধছে বিজেপির গলায়, ফেসবুকে বিড়ম্বনা বাড়িয়ে এ বার ইস্তফার হুমকি পঞ্চায়েত সদস্যর
    এই সময় | ০৯ জুন ২০২৫
  • শুভেন্দু অধিকারীর জেলা সফরের দিনই বিস্ফোরক পোস্ট বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীর। কাজ করতে না পারলে, ইস্তফা দেবেন বলে জানালেন পঞ্চায়েত সদস্যও। বীরভূমে সিউড়ি-১ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত করিধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এর আগেও শিরোনামে উঠে এসেছে এই পঞ্চায়েত। গত বছরই এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। দল ছেড়েছিলেন আরও দুই বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য। এ বার বেঁকে বসছেন আরও এক সদস্য। সোমবার বোলপুরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে ‘নারী সম্মান যাত্রা’। তাঁর আগে করিধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের চায়না দাসের এ হেন মন্তব্যে বিড়ম্বনায় দল।

    কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের সদস্য চায়না দাস বলেন, ‘২ বছর হয়ে গেল। ওয়ার্ডের কোনও কাজ করতে পারছি না। আমাদের জলের খুব সমস্যা। এখানে মোটামুটি ১০০টা বাড়ি। প্রধানকে জানালে, উনি বলেন, দেখছি। কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে কিছুই দেখা হচ্ছে না। ফোন করলে আজকাল ধরেনও না। গ্রামের পরিষেবাই যখন দিতে পারছি না, কী করব? রিজাইন করে দেবো।’

    বীরভূম সাংগঠনিক জেলায় বিজেপি ৭টি গ্রামপঞ্চায়েতে জিতেছিল। তার মধ্যে অন্যতম সিউড়ি-১ ব্লকের কড়িধ্যা গ্রামপঞ্চায়েত। ১৭টি আসনের মধ্যে এখানে ৯টিতে জেতে বিজেপি, ৮টিতে জেতে তৃণমূল। যদিও পরে উপপ্রধান-সহ তিন সদস্য বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে।

    কড়িধ্যা গ্রামপঞ্চায়েতের পূর্ব কালীপুর ১০ নম্বর সংসদের সদস্য চায়না দাস। তাঁর দাবি, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। প্রধান বা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে কাজ হয়নি। তাই তাঁর স্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। স্বভাবতই এই পোস্ট ঘিরে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে বিজেপি।

    যদিও প্রধান বেলা দত্তের দাবি, তাঁর ফোন খারাপ হয়ে গিয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘উনি ফোনে না পেলে অফিস বা আমার বাড়িতে এলেন না কেন? আমার বাড়ির কাছেই তো তিনি থাকেন। এ সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

    খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূলও। বিজেপি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চেয়ার পেয়েছে, দাবি সিউড়ির বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরীর। বিকাশ বলেন, ‘পঞ্চায়েতে প্রতিটা স্তরেই টাকা যায়। জল আছে কি না, আলো জ্বলছে কি না, এগুলো দেখার দায়িত্ব পঞ্চায়েতের। আমার তো মনে হয়, এই বিজেপি সদস্য যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছেন, একদম সঠিক। আর ওখানে কেউই থাকবে না। প্রধান কিছুদিন থাকলেও তাঁর চেয়ারটাই চলে যাবে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তো আর বেশিদিন থাকা যায় না। বিজেপি সেটাই করেছে।’

    পাল্টা বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার বক্তব্য, ‘কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের সদস্য ভাঙাতে তৃণমূল চক্রান্ত শুরু করেছে। লাভ হবে না। চায়নার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিষয়টা আমরা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেব। প্রধান ফোন ধরেন না অভিযোগ ওঁর। প্রধানের সঙ্গে কথা বলা হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)