কথায় আছে মাছ-ভাতে বাঙালি৷ ভোজন রসিক বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে ইলিশের জুড়ি মেলা ভার। বর্ষা এলেই ইলিশের বিভিন্ন পদের দেখা মেলে বাঙালির পাতে৷ একটু বেশি লাভের আশায় মৎস্যজীবীদের মধ্যেও ইলিশ ধরার তৎপরতা দেখা যায়৷ তবে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২ মাস গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে৷ কিছুদিনের মধ্যেই সেই নিষেধাজ্ঞা উঠতে চলেছে। ফলে বাঙালির রসনা তৃপ্তি করতে আপাতত গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় মৎস্যজীবীরা।
জানা গিয়েছ, মৎস্যজীবীরা এখন থেকে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকা, মূলত দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, শংকপুর, কাঁথি এলাকার মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। সব কিছু ভুলে মৎস্যজীবীরা ব্যস্ত মাছ ধরার সরঞ্জাম গোছাতে। চলছে জাল তৈরি থেকে ট্রলার সংস্কারের কাজ৷
কাঁথির সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক বিভাগ) সুমন সাহা বলেন, ‘আগামী ১৫ জুন থেকে আবার মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। জেলায় সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত ট্রলারের সংখ্যা ২৯০০। যার মধ্যে বড় ট্রলার রয়েছে প্রায় ১৯০০টি। বড় ট্রলারগুলি ১৫ জুন মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য রওনা দেবে। তবে ছোট ট্রলারগুলি এখনই পাড়ি দিচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর মৎস্যজীবীদের সুরক্ষার ও তাঁদের গতিবিধি জানার রাজ্য মৎস্য দপ্তরের তরফে বেশ কিছু ট্রলারে ইসরোর তৈরি উন্নত প্রযুক্তি ‘টান্সপন্ডার’ বসানো হয়েছে।