দেবব্রত ঘোষ: সোদপুরের মহিলাকে হাওড়ার বাঁকরায় আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় এখনো পলাতক অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও আরিয়ান খান। হাওড়া সিটি পুলিসের একটি তদন্তকারী দল তাদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেও এখনো ফেরার দুজন। তাদের ফোন স্যুইচড অফ। তদন্তে তাদের সম্পর্ক উঠে আসছে আরও চমকে দেওয়ার মত তথ্য।
এলাকার মানুষজনের বক্তব্য, প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাদের ভালোরকম যোগাযোগ ছিল। কোনও কোনও মহলের দাবি, পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাদের। সেই কারণেই কারণেই শ্বেতা খান ও আরিয়ান খানকে কেউ কিছু করতে পারেনি। এমন অভিযোগ করছেন স্থানীয়রাও। আরও অভিযোগ, তাদের ফ্ল্যাটে চলতো সেক্স ব়্যাকেট। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করেছিল শ্বেতা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দেখা যেত। তৃণমূলে যোগ দেবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার নোংরা কাজকর্মের জন্য দলে নেওয়া হয়নি। পুলিস এরকম কোনও অভিযোগ পায়নি।
শ্বেতা খান ও আরিয়ান খান যে ফ্ল্যাটে থাকত সেই ঘর এখন তালাবন্ধ। সেই ঘরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বেশকিছু রহস্য। এমনটাই মনে করছে পুলিস। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই ফ্ল্যাটের মধ্যে চলত যৌন কাজ কারবার। পুলিস ওই ফ্ল্যাটের তালা খোলার জন্য আদালতে আবেদন করতে চলেছে পুলিস। ঘরের ভেতরের পাশাপাশি সিসিটিভি থেকে কিছু পাওয়া যা কিনা তা দেখতে চাইছে পুলিস।
আরিয়ান খান এবং তার মা শ্বেতা খান তারা শুধু দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া নয়। বিদেশেও ছিল তাদের অবাধ যাতাযাত। এমনটাই সূত্রের খবর। শ্বেতা খানের সঙ্গে ব্যাংককের একটা যোগাযোগ ছিল। বিভিন্ন সময় তিনি ব্যাংকক গিয়েছিলেন। কাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন, কেন গিয়েছিলেন এটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যেহেতু তাদের সঙ্গে বিদেশের একটা যোগ রয়েছে তাই মা এবং ছেলে তারা কি বিদেশি চলে গেল? উড়ছে প্রশ্ন। এখনও পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা গেল না তাদের। পুলিস তাদের খোঁজে জোর কদমে তল্লাশি চালাচ্ছে। গড়া হয়েছে বিশেষ টিম।
এখনো অধরা শ্বেতা খান ও তার ছেলে আরিয়ান খান। তাদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি। হাওড়া বাঁকরা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিস ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মা ভাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিস সূত্রে জানা গেছে সোদপুরের নির্যাতিতাকে নিয়ে কুলু মানালি গিয়েছিল শ্বেতা খান। বেড়াতে গিয়েছিল নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।