• শ্বেতা-আরিয়ান এখনও বেপাত্তা! ‘পর্ন সাম্রাজ্য’ চালানো মা-ছেলের বিদেশে গা ঢাকা?
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ জুন ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোদপুর কাণ্ডে (Howrah man mother tortures woman) এখনও অধরা শ্বেতা খান ও তার ছেলে আরিয়ান খান। তাদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি। হাওড়া বাঁকরা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিস ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মা ভাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুরের নির্যাতিতাকে নিয়ে কুলু মানালি গিয়েছিল শ্বেতা খান। বেড়াতে গিয়েছিল নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। 

    হাওড়া সিটি পুলিসের একটি তদন্তকারী দল তাদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী চালালেও এখনও ফেরার দুজন। সূত্রের খবর, আরিয়ান খান এবং তার মা শ্বেতা খান তারা শুধু দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া নয় বিদেশেও ছিল তাদের অবাধ যাতায়াত। শ্বেতা খানের সঙ্গে ব্যাংককের একটা যোগাযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি ব্যাংকক গিয়েছিলেন। কাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন, কেন গিয়েছিলেন এটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    কী হয়েছিল?

    যেহেতু তাদের সঙ্গে বিদেশের একটা যোগ রয়েছে তাই মা এবং ছেলে কি বিদেশি চলে গেলেন। উঠছে প্রশ্ন? এখনও পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা গেল না তাদের। পুলিস তাদের খোঁজে জোর কদমে তল্লাশি চালাচ্ছে। সোদপুর কাণ্ডে আগেই উঠে এসেছে শ্বেতা খান ও তার ছেলে আরিয়ান খানের নাম। এরা হাওড়ার বাঁকরা এলাকার বাসিন্দা।এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন নাজিরগঞ্জের ব্যবসায়ী মাসুদ আলম খানও।

    তিনি বলেন, তার ছেলে ও আরিয়ানের বোন ঈশিকা একই সঙ্গে পড়াশোনা করত। ঈশিকা আত্মহত্যা করে। কারণ তার মা ও দাদা খারাপ পথে নামতে বাধ্য করছিল। সে কারণেই আত্মহত্যা করে। মাসুদ আলম খান বলেন, এই ঘটনায় তার কাছ থেকে এক কোটি চেয়েছিল শ্বেতা খান। বলেছিল, টাকা না দিলে তার ছেলেকে ফাঁসানো হবে।সেটাই করেছিল।

    এদিকে পর্নগ্রাফি না করাতেই এইভাবে মারধর করত সোদপুরের যুবতীকে এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের। নির্যাতিতা আরও বলেছেন, তাকে দিয়ে নোংরা কাজ করার কথা বলত। তবে কবে গ্রেফতার হবে মা,ছেলে। অন্যদিকে বাঁকরা ফকিরপাড়ার যেখানে থাকত আরিয়ান খান সেখানকার বাসিন্দারা জানান, ফ্ল্যাটে সেক্স রাকেট চলত। অনেক রাতে ছেলে মেয়েরা আসত। জোরে মিউজিক সিস্টেম চলত। সোদপুরের মেয়েটিকে এখানে দেখা গিয়েছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)