• ইলিশ কেনার নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন! গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মী-সহ ২
    প্রতিদিন | ০৯ জুন ২০২৫
  • শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ইলিশ কেনার নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীকে ‘খুন’। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক পুলিশ কনস্টেবল-সহ ২জনকে। নেপথ্যে উঠে আসছে টাকা-পয়সা নিয়ে অশান্তির তত্ত্ব। ঘটনায় সঙ্গে আর কারও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আনন্দ রাজ। তাঁর বয়স ৩২ বছর। বেশ কয়েকটি গাড়ি ছিল তাঁর। ঝাড়খণ্ড থেকে বিভিন্ন এলাকায় পাথর সরবরাহ করতেন ওই যুবক। গত ১৫ মে সুতির মধুপুর থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবকই আনন্দ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, আনন্দ দেওঘরের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে থাকতেন পাকুড় পুলিশ লাইনের উলটোদিকে। সেই সূত্র ধরেই নাকি কনস্টেবল বিপিনকুমার পাঠকের সঙ্গে পরিচয় হয় আনন্দর। ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের মধ্যে। তবে সম্প্রতি টাকা-পয়সা ধার নেওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি বাঁধে। এক পর্যায়ে যা চরমে ওঠে।

    পুলিশ সূত্রের খবর, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রচুর টাকা ধার নিয়েছিলেন আনন্দ। শোধ দিতে পারছিলেন না তিনি। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ করে দেন যুবক। গত ১৪ মে সন্ধেয় আনন্দের বাড়িতে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে পার্টি হয়। তারপর ইলিশ কেনার নাম করে আনন্দকে নিয়ে বেরোয় বিপিন। ফরাক্কা ঢোকার আগে ঝাড়খন্ড পুলিশের ওই কনস্টেবল সামশেরগঞ্জ থানার ডাকবাংলো এলাকা থেকে তার ম্যানেজার আবু সুফিয়ানকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেন। ফেরার সময় আবু সুফিয়ান এবং বিপিন গাড়িতেই আনন্দকে খুন করেন। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্লেড দিয়ে নলি কাটা হয় আনন্দর। এরপর দেহটি ফেলে দেওয়া হয় সুতি থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ২ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের জেরা করলে আরও তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)