বিদেশে গা ঢাকা ‘পর্ন সাম্রাজ্য’ চালানো ডোমজুড়ের শ্বেতা-আরিয়ানের? আরও ঘনাল রহস্য
প্রতিদিন | ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা আগে ঘটনার পর্দাফাঁস। যাদের নিয়ে এত আলোচনা, দেখা নেই তাদের। প্রোডাকশন হাউসের আড়ালে সফট পর্ন তৈরি করা ডোমজুড়ের (Domjur) শ্বেতা-আরিয়ান এখনও বেপাত্তা। কোথায় গেল তারা, তা নিয়ে ধন্দে প্রায় সকলেই। হয়তো মা-ছেলে দু’জনে বিদেশে গিয়ে গা ঢাকা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এর আগেও একাধিকবার ব্যাঙ্ককে গিয়েছে শ্বেতা (Sweata Khan)। কেন বারবার ব্যাঙ্ককে যেত সে, কার সঙ্গেই বা যেত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ব্যাঙ্ককে যাওয়ার খরচই জোগাড় করত কীভাবে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকেই ফ্ল্যাট তালাবন্ধ করে পলাতক শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি ও তার ছেলে আরিয়ান। সোমবার সকাল পর্যন্ত তাদের কোনও খোঁজ মেলেনি। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ডোমজুড় থানা এফআইআর গ্রহণ করেছে। ২ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা হবে। জানা গিয়েছে, আরিয়ান ও শ্বেতা রিলস বানিয়ে মোটা টাকা আয় করত। সেই রিলস বানিয়েই কাজের টোপ দিত তারা। সোশাল মিডিয়ায় আরিয়ানের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর মা-ছেলের সেই টোপ গিলেই তরুণী আরিয়ানের ডোমজুড়ের ফ্ল্যাটে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েই ভুল ভাঙে তরুণীর।
অভিযোগ, পানশালায় কাজ করানো হয় তরুণীকে দিয়ে। শুধু তাই নয়, মধুচক্র-পর্নোগ্রাফির প্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু এসব কাজ করতে রাজি হননি ওই তরুণী। তিনি সেখান থেকে চলে আসতে চান। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় অমানুষিক অত্যাচার। তরুণীকে আটকে রেখে তাঁকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করানো থেকে শুরু করে শরীরে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া, মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোনওরকমে সোদপুরের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তরুণী। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা মা-ছেলের কীর্তি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। পুলিশ স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা সামনে আসতেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন বাঁকড়ায় শ্বেতাদের প্রতিবেশী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, মা-ছেলে নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্মে জড়িত। এর আগে একাধিকবার তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, প্রত্যেকবারই অভিযোগকারীদের পাল্টা মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছিল তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি ও ছেলে আরিয়ান ফ্ল্যাটে মধুচক্র চালাত। অস্ত্র সঙ্গে রাখত। মা-ছেলের বিরুদ্ধে ডোমজুড় থানায় বহুবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারপরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা তো নেয়নি, উল্টে মিথ্যা অভিযোগে এফআইআরের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। যদিও, গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।